‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ এই নীতি মেনে দলের নির্দেশে মধ্যমগ্রাম পুরসভার (Madhyamgram Municipality) প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh)। রথীন ঘোষের উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে দৌড়ে এগিয়ে প্রকাশ রাহা। পুরসভার মেয়াদ ফুরনোর আগে প্রকাশবাবু ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। ভোটাভুটিতে হারিয়েছিলেন দলেরই প্রার্থী অরবিন্দ মিত্রকে।
তৃণমূল সূত্রে নিমাই ঘোষের নামও আলোচনায় উঠে আসছে। করোনা মহামারীর সময় তিনি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন, এমনটাই দাবি মধ্যমগ্রামবাসীর একাংশের। অন্যদিকে, প্রকাশ রাহার জনসংযোগও যথেষ্ট ভালো। এই দুজনের একজনকে প্রশাসক পদে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, একই ব্যক্তি দলের একাধিক পদে থাকতে পারবেন না। যিনি মন্ত্রী হবেন, তিনি শুধু মন্ত্রিত্বই সামলাবেন। দলের অন্য কোনও পদে থাকতে পারবেন না। এই নীতি মেনে রথীন ঘোষকে দলের পক্ষ থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। রথীনবাবুই রাজ্যের প্রথম মন্ত্রী, দলের নীতি মেনে যাঁকে অন্য পদ ছাড়তে হল।
রথীনবাবু মধ্যমগ্রাম বিধানসভার তিন বারের বিধায়ক। এবারই প্রথম মন্ত্রী হয়েছেন। পাশাপাশি মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
পুর নির্বাচন না হওয়ায় এখন রাজ্যের পুরসভাগুলি পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা পুর প্রশাসকমণ্ডলী। বিদায়ী চেয়ারম্যানরাই প্রধান পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।