হোমরাজ্যকরোনাকালে মানসিক অবসাদ দূর করবেন কীভাবে? রইল বেশ কিছু টিপস

করোনাকালে মানসিক অবসাদ দূর করবেন কীভাবে? রইল বেশ কিছু টিপস

করোনাকালে মানসিক অবসাদ দূর করবেন কীভাবে? রইল বেশ কিছু টিপস

দেবস্মিতা নাগ
এই মুহূর্তে সভ্যতা যে চরম সংকটের মধ্য দিয়ে চলেছে, তাতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। চারপাশে লক্ষ্য করলেই দেখা যায় হতাশাগ্রস্ত মুখের সারি। বিশেষত বয়স্কদের অনেকেই ক্রনিক ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে পড়েছেন। এঁদের কারোর সন্তান কর্মসূত্রে রয়েছেন বহুদূরে। আবার কারোর নিকটজন করোনার গ্রাসে মারা গেছেন। কেউ বা চরম আর্থিক সঙ্কটের শিকার।

সঙ্কটের তালিকার তো শেষ নেই। তবে ভালো থাকা নির্ভর করে প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব চাওয়ার উপর। এমন কিছু চাওয়াকে নতুন করে এই আরোপিত একাকীত্বের কালে আবিষ্কার করে নিতে হবে, যা মনের মধ্যে হাজার বিষয়ের ভিড়ে কোথাও হারিয়ে গিয়েছিল।

যেমন, এমনটা হতে পারে, কেউ বাগান করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হয়নি। তিনি কয়েকটা কোল্ড ড্রিংকসের বোতলে পটিং করে কিছু গাছ পুঁতে বারান্দা সাজাতে পারেন। সাহায্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক বাগানীদের গ্রুপ আছে। শুরুটা এভাবে হতেই পারে।

কেউ হয়তো ভালো উল বুনতেন। অনেক দিন বোনা হয়নি। কারো শখ ছিল মাউথ অর্গ্যান বাজানো। কিন্তু অব্যবহারে ধুলো পড়ে গেছে। কেউ বই পোকা ছিলেন। কিন্তু কাজের জায়গায় এতো লোকের হৈ চৈয়ে বহুদিন বইয়ের সঙ্গে একা থাকা হয়নি।

অনেকেই আছেন এক সময় রান্না ঘরটা গবেষণাগারের মত করে ব্যবহার করতেন। কাজের চাপে সেসব চুকে বুকে গেছিল। নতুন করে কোমরে আঁচল গুঁজে বা গামছা বেঁধে ঢুকে পড়ুন না কেন।সবাইকে কোনো জাপানী ডিশ খাইয়ে একেবারে তাক লাগিয়ে দিন।

কেউ বা লেখালেখি করতে চেয়েছিলেন, নিজের মনের কথা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছিলেন, করা হয়ে ওঠেনি। কোনো ই-ম্যাগাজিনে এনরোল করে লেগে পড়ুন। কেউ বা কাউকে কিছু বলতে চেয়েছিলেন, বলা হয়নি। বলে ফেলুন।

এই অনিশ্চিত পৃথিবীতে,আর কবে? অনেক পুরোনো বন্ধু যাদের সাথে হোস্টেলে রুম ভাগ করতেন। রোজ দিনের শেষে আড্ডা না দিলে নিজেকে অভুক্ত মনে হত, তাঁদের আবার একবার খুঁজে বের করুন না। আরও একবার নিজেকেও হয়তো খুঁজে পাবেন।

পৃথিবী সত্যিই অনিশ্চিত। শুধু নেতিবাচক অর্থে কেন, ইতিবাচক অর্থেও তো হতে পারে। হয়তো আপনি হঠাৎ খুঁজে পেলেন জীবনের অন্য কোনো নতুন অর্থ, যেটা করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে আপনার জীবনের অঙ্গ হয়ে থাকবে। সেটা একটা ছোট্ট পোষা প্রাণীও হতে পারে, যা আপনার এতদিন পোষা হয়ে ওঠেনি।

একটা পাখি, একটা মাছ বা ছোট্ট বিড়াল বা কুকুর ছানা। যত বিভীষিকা সব ক্ষণিকের জন্য অবজ্ঞা করে নিজের হারিয়ে যাওয়া শখ বা অব্যক্ত বক্তব্যে নিজেকে আবিষ্কার করুন। মনে মনে বলুন, হয় এখনই, নয়তো কখনোই নয়।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img