হোমদেশব্রাত্য আয়ুর্বেদেই আশ্চর্য ফল! সুস্থ ১০০ শতাংশ করোনা রোগী, নেই মৃত্যু, পথ...

ব্রাত্য আয়ুর্বেদেই আশ্চর্য ফল! সুস্থ ১০০ শতাংশ করোনা রোগী, নেই মৃত্যু, পথ দেখাচ্ছে দিল্লির হাসপাতাল

ব্রাত্য আয়ুর্বেদেই আশ্চর্য ফল! সুস্থ ১০০ শতাংশ করোনা রোগী, নেই মৃত্যু, পথ দেখাচ্ছে দিল্লির হাসপাতাল

নিউজ ডেস্ক : দেশের তাবড় তাবড় বড় হাসপাতাল যা করে দেখাতে পারেনি, তা-ই করে দেখাল দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ বা এআইআইএ। শুধুমাত্র আয়ুর্বেদ ওষুধেই ‘১০০ শতাংশ’ করোনা রোগীকে সুস্থ করে তুলেছেন এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা, যার নজির গোটা দেশে কোথাও নেই বললেই চলে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত এখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০ জনেরও বেশি করোনা রোগী। শুধুমাত্র মৃদু বা মাঝারি উপসর্গের নয়, সুস্থ হয়ে ওঠা কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন সঙ্কটজনক রোগীও। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর কেস নেই।

এআইআইএ-র এই সাফল্যে খুশি কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এআইআইএ-র প্রধান ডা. তনুজা নাসেরি জানাচ্ছেন, “সঙ্কটাপন্ন রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। ৬ বেডের আইসিইউ-তে রয়েছে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাও। একমাত্র প্যারাসিটামল ছাড়া রোগীদের অন্য কোনও অ্যালোপ্যাথি ওষুধ দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়নি কোনও স্টেরয়েডও।”

তাঁর দাবি, একজন রোগীকেও রেমেডেসিভির, ফ্ল্যাভিপিরাভির, অ্যাজিথ্রোমাইসিন বা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মত ওষুধ দেওয়া হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার রোগীদের ক্ষেত্রে যে সমস্যাটা বেশি করে দেখা দেয়, তা হল, হাইপক্সিয়া (রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া) এবং থ্রম্বোসিস (রক্ত জমাট বাঁধা)।

হাইপক্সিয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হচ্ছে অক্সিজেন থেরাপি। আর আয়ুর্বেদে এমন কিছু
‘অ্যান্টিকোয়াগুলেটরি’ ওষুধ আছে, যা রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না।

দিল্লির এই আয়ুর্বেদ হাসপাতালে রয়েছেন মেডিসিনের ডাক্তারও। প্রয়োজনে তাঁদেরও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। এইমসের চিকিৎসকদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থা। সেরকম পরিস্থিতি হলে, রোগীকে এইমসে রেফার করা হচ্ছে। এককথায় ইন্টিগ্রেটেড চিকিৎসা ব্যবস্থা। পাশাপাশি রোগীদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে রাখা হয়েছে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও।

হাসপাতালের আউটডোরে কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে। সেখান থেকেই পজিটিভ রোগীদের ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। এখানকার রোগীদের বেশিরভাগই দিল্লি পুলিশের কর্মী। প্রায় ৮০ হাজার পুলিশ কর্মীকে দেওয়া হয়েছে ‘প্রোফাইল্যাক্সিস’। ৫০ বেডের এই হাসপাতালের ৩০টি পুলিশের জন্য সংরক্ষিত।

দিল্লির সব আয়ুর্বেদ হাসপাতালেই করোনার চিকিৎসা চলছে। চলছে আয়ুর্বেদ ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তার ফল জানা যাবে বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img