হোমরাজ্যPilu : না ফেরার দেশে চলে গেলেন সংগীতশিল্পী পিলু ভট্টাচার্য

Pilu : না ফেরার দেশে চলে গেলেন সংগীতশিল্পী পিলু ভট্টাচার্য

Pilu : না ফেরার দেশে চলে গেলেন সংগীতশিল্পী পিলু ভট্টাচার্য

বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী পিলু ভট্টাচার্যের (Pilu Bhattachrya) জীবনাবসান হয়েছে। বুকে ব্যথা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে কয়েকদিন আগে বাড়ি ফিরেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফের তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়। এরপর কোনওরকম চিকিৎসার সুযোগ না দিয়েই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

শুক্রবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় পিলু ভট্টাচার্যের মৃত্যু সংবাদ জানান তাঁর পুত্র ঋতর্ষি ভট্টাচার্য। তিনি লেখেন, “অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমার বাবা পিলু ভট্টাচার্য আজ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করুন।”

প্রিয় শিল্পীর আকস্মিক এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীত জগতে। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

পিলু ভট্টাচার্যের শৈশব কেটেছে উত্তর কলকাতায়। সংগীত জীবনের শুরুর দিকে বিভিন্ন কলেজের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে সুনাম অর্জন করেন।

কেরিয়ারের শুরুতে লড়াই করলেও, পরবর্তীকালে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট গান। প্যারোডি গানের ক্ষেত্রে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। নিজেও বহু গান লিখেছেন। লিখেছেন জলছবি, কান্দিয়া আকুল, চল যাই-এর মতো একাধিক হিট গান।

২০০৭ সালে তাঁর ‘রাধামাধব’ অ্যালবামটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। দিয়েগো মারাদোনার সামনেও গান গেয়েছিলেন পিলু। শুধু বাঙালি নয়, তাঁর সেই মন ছুঁয়ে গিয়েছিল ফুটবলের ‘ভগবানে’রও।

গানের পাশাপাশি ভালোবাসতেন খেলাধুলোও। ২০১৯ সালে ভারতীয় দলের জন্য ‘ইন্ডিয়া জিতেগা’ গানটি গেয়েছিলেন। পরে সেই গানটি হিন্দিতেও গেয়েছিলেন তিনি৷

একসময় রাজ্যের মন্ত্রী প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সিপিএমের মঞ্চেও বহুবার গান গেয়েছেন। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পিলু ভট্টাচার্য৷

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img