জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে নতিস্বীকার করে অবশেষে পিছু হটল রাজ্য সরকার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল সহ চার শীর্ষ আধিকারিককে সরিয়ে দিল নবান্ন।
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ, নবনিযুক্ত মেডিক্যাল সুপার-কাম-ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি), চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।
যদিও মুখের কথায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, লিখিত নির্দেশিকা বের হলে, তাঁরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
সন্দীপ ঘোষকে সরিয়ে দিয়ে সুহৃতা পালকে আরজি করের অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার তাঁরা স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত মিছিল করেন। ওই মিছিলে যোগ দেন সিনিয়র ডাক্তাররাও।
মিছিলের শেষে স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পর তাঁরা জানান, মৌখিকভাবে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। তাই বৈঠক নিয়ে তাঁরা ‘হতাশ’ বলেও জানান জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা।
স্বাস্থ্য সচিব জানান, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সরিয়ে দিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। সেই পদ থেকেও তাঁকে সরানোর যে দাবি জুনিয়র ডাক্তাররা তুলেছিলেন, তা-ও মেনে নেওয়া হয়েছে।