আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অবশেষে রায় ঘোষণা করতে চলেছে শিয়ালদহ আদালত। আগামী ১৮ জানুয়ারি, শনিবার দুপুর ২.৩০-এ সাজা ঘোষণা করা হবে।
৪ নভেম্বর চার্জ গঠনের পর ১১ নভেম্বর থেকে এই মামলার বিচার পর্ব শুরু হয়। টানা ২ মাস ধরে চলা শুনানিতে ৫১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। অভিযুক্তের ফাঁসির পক্ষেই সওয়াল করেছেন সিবিআই আইনজীবীরা। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
সিবিআইয়ের দাবির বিরোধিতা করে আদালতে ধৃতের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তই নন। গোটা ঘটনাটি সাজানো। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁর মক্কেলকে। বুধবারই আদালতে ধৃতের আইনজীবী জানান, নির্যাতিতার শরীরে কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন মেলেনি। তাঁর পোশাকও অক্ষত ছিল। ফলে সিবিআইয়ের বক্তব্য সঠিক নয়। সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণও পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী।
নির্যাতিতার পরিবার আদালতে জানিয়েছে, এক জনের পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। তারা নতুন করে তদন্ত চেয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই রাতে তিনি হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন। ধৃত সিভিককে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই সেমিনার হলে ঢুকতে এবং বেরোতে দেখা গিয়েছে। কলকাতা পুলিশ ঘটনার পরের দিনই তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে এর তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।