১৮৮১ সালে এই পত্রিকার পথ চলা শুরু হয়েছিল একটি আধ্যাত্মিক পত্রিকা হিসেবে। যোগভক্তি মার্গের সিদ্ধসাধক ভাদুড়ী মহাশয় অর্থাৎ পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত এই পত্রিকার বার্ষিক সংখ্যা : ১৪৩২-এ স্থান পেয়েছে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের রচিত সঙ্গীত। সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে নানা জনের নানা লেখা।
সনাতন ধর্ম প্রচারিণী সভা ও শ্রীশ্রী নগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশনের মুখপত্র ‘সত্য প্রদীপ’ পত্রিকা। ১৮৮১ সালে “The Levitating Saint” ভাদুড়ী মহাশয় অর্থাৎ মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই আধ্যাত্মিক পত্রিকাটি প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার ১৪৩২ বঙ্গাব্দের সপ্তদশ বার্ষিক সংখ্যায় প্রথমেই রয়েছে ড. রবীন্দ্রনাথ কর লিখিত সম্পাদকীয়। তারপরে রয়েছে পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ রচিত পরমার্থ সঙ্গীতাবলীর একটি নির্বাচিত সঙ্গীত। তারপরে আছে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের মানসপুত্র শ্রীমৎ ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারী লিখিত ‘ভগবদ্ বাক্য’, শ্রীমৎ ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারীর ত্যাগী মন্ত্র শিষ্য শ্রীমৎ ভক্তিপ্রকাশ ব্রহ্মচারীর লিখিত ‘যেমন দেখেছি যেমন শুনেছি’ থেকে উজ্জ্বল উদ্ধার।
শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের আচার্য – সদ্যপ্রয়াত ড. রঘুপতি মুখোপাধ্যায়ের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে লিখেছেন ড. জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায়। ড. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের স্বরূপ বিশ্লেষণ প্রসঙ্গে ‘বহিরঙ্গে মহাদেব, অন্তরঙ্গে বিষ্ণু’। মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের ভাবধারা প্রসঙ্গে এখানে কলম ধরেছেন ‘ওঁ নমো নগেন্দ্রায় নমো’-তে ড. বিশ্বরত মহাকুল। গুরু পূর্ণিমা উৎসব প্রসঙ্গে লিখেছেন ডা. প্রজ্ঞারঞ্জন দত্ত বাচস্পতি। অচিন্ত্যরঞ্জন দেবতীর্থের রচনার বিষয় – ‘মন্ত্রপাঠ : আরোগ্যর অব্যর্থ মহৌষধ’। শ্যামলী ভট্টাচার্য মহর্ষিদেবকে নিয়ে লিখেছেন ‘আমার অনুভূতিতে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ’।
ড. সত্যনারায়ণ দাস প্রতিবন্ধীদের নিয়ে লিখেছেন ‘প্রতিবন্ধী কী ও কেন?’। সঞ্জয় ভট্টাচার্য লিখেছেন গুরুতত্ত্ব এবং শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে ‘তষ্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ’। শিবানী ভট্টাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন মহর্ষিদেবের উদ্দেশে নিবেদিত কবিতা – ‘প্রার্থনা’।
এছাড়াও রয়েছে মঠ ও মিশন সংবাদ ১৪৩২, শোক জ্ঞাপন, শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ ও মিশনের প্রকাশিত পুস্তকাবলীর তালিকা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়। ৫২ পৃষ্ঠার এই সংখ্যাটির অনুদানমূল্য ১৫ টাকা।