সরকারি আইন থাকা সত্ত্বেও একশ্রেণির স্কুল শিক্ষক দিনের পর দিন বাড়িতে টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনই অভিযোগ টিউটর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (TWAI)। এ ধরনের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি তুলেছে এই সংগঠন। TWAI-এর দাবি, “বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাজ্যের সব জেলার District Inspector of Schools-এর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ডিআই কোনও তদন্ত করেননি। অভিযুক্ত শিক্ষকদের থেকে শুধুমাত্র মুচলেখা নিয়েই দায় এড়িয়ে গেছেন। বেশিরভাগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই বেআইনি কাজকে সমর্থন করেন না। টিউশনে যুক্ত শিক্ষকরা সময়মতো স্কুলে না আসায় সমস্যায় পড়ছেন হেড মাস্টাররা। সরকারের সমস্ত স্তরে বিষয়টি জানানো হলেও, কোনও কাজ হয়নি।”
গৃহ শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরার লক্ষ্যে মঙ্গলবার আত্মপ্রকাশ করল সর্বভারতীয় সংগঠন Tutors Welfare Association of India. সংগঠনের চেয়ারম্যান সুজয় কুমার বর্মন, সভাপতি স্বপন দত্ত ( উজ্জ্বল ) এবং সম্পাদক সোহম ভট্টাচার্য বলেন, “প্রাইভেট টিউটররা সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও, তাঁরা সমাজে বরাবরই অবহেলিত থেকে গেছেন। তাঁদের সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনা হয় না আমাদের সংগঠনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতি মুক্ত করা।”
তাঁরা জানান, অ্যাকাডেমিক টিউটর ছাড়াও, আঁকা, নাচ, গান, আবৃত্তি, ক্যারাটে, তবলা সহ যে কোনও বাদ্য যন্ত্রের শিক্ষক, বিভিন্ন খেলার সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষক এবং সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলের সঙ্গে যুক্ত নন, এমন সকলেই এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ দাবিও পেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ড্রপ-আউট ছাত্রছাত্রীদের আবার স্কুলে ফিরিয়ে আনা, গৃহ শিক্ষকদের জন্য একটি “পর্ষদ” গঠন, অভিভাবক থেকে শুরু করে অন্যান্যরাও যাতে অভিযোগ জানাতে পারেন, সেজন্য একটি Grievance Cell গঠন প্রভৃতি।