হোমঅন্যান্যরবীন্দ্রসংগীতের রাজেন্দ্রাণী ছিলেন সুচিত্রা মিত্র

রবীন্দ্রসংগীতের রাজেন্দ্রাণী ছিলেন সুচিত্রা মিত্র

রবীন্দ্রসংগীতের রাজেন্দ্রাণী ছিলেন সুচিত্রা মিত্র

আয়েলিতা ভট্টাচার্য
আজ সুচিত্রা মিত্রের প্রয়াণ দিবস। ২০১১ সালে আজকের দিনে রবীন্দ্রসংগীতের রাজেন্দ্রাণী চলে গিয়েছিলেন। সেদিন কলকাতার অহংকারের একটি নক্ষত্র খসে গিয়েছিল। কলকাতা দরিদ্রতর হয়েছিল।

তাঁর জন্ম ট্রেনে। গজুন্ডি শহরে। তাই তার ডাক নাম গজু। তিনি বলতেন ট্রেনের চাকার মত তিনি সর্বত্র ঘুরে বেরিয়েছেন।

বাবা সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ‍্যায়। শান্তিনিকেতনেই তাঁর পড়াশোনা, গানশেখা। তিনি শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ মারা যাওয়ার ছ’মাস পরে। রবীন্দ্রনাথের জীবনকালে তিনি শান্তিনিকেতনে আসতে পারেননি, এ দুঃখ সারাজীবন বয়ে বেরিয়েছেন। প্রথমে তাঁর শিক্ষাগুরু ছিলেন পিতৃবন্ধু পঙ্কজ কুমার মল্লিক। তারপর শৈলজানন্দ, শান্তিদেব ঘোষের মতো রথী-মহারথীরা তাঁকে সংগীত শিক্ষা দিয়েছেন। ফলে তিনি হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রসংগীতের রাজেন্দ্রাণী।

রবীন্দ্রসংগীত ছিল তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস, সহায়- সম্বল। জীবনে তিনি অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন। শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়েছিল। সঙ্গীত পিপাসুদের কাছে তাঁর চলে যাওয়ার এই দিনটি একটি কালো দিন বলা চলে।

দেবব্রত বিশ্বাস ও তাঁকে কেন্দ্র করে একটা সময় তুমুল বিতর্ক জমে উঠেছিল। রবীন্দ্র সঙ্গীতপ্রেমী ও সাধারণ বঙ্গ সমাজ দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল।দেবব্রত অভিমান করে গান রেকর্ড করাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

সেই সময়ের একটি খবরের কাগজ এই বিতর্ক তৈরি করেছিল। বলা হয়েছিল, দেবব্রত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের কোনও নিয়ম না মেনেই গান গাইছেন। রটানো হয়েছিল সুচিত্রা মিত্র কলকাঠি নাড়ার ফলে দেবব্রতর গান বন্ধ হয়েছিল।

কিন্তু এই দুই শিল্পীর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, দুজনের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্ক আগাগোড়া ছিল। আজ দুজনেই নেই। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গানের ভক্তদের কাছে তাঁরা ভীষণভাবে জীবিত একইভাবে।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img