হোমরাজ্যZoo : আলিপুরে এখন অ্যানাকোন্ডার ছড়াছড়ি, চিড়িয়াখানা ঢেলে সাজাচ্ছেন বনমন্ত্রী

Zoo : আলিপুরে এখন অ্যানাকোন্ডার ছড়াছড়ি, চিড়িয়াখানা ঢেলে সাজাচ্ছেন বনমন্ত্রী

Zoo : আলিপুরে এখন অ্যানাকোন্ডার ছড়াছড়ি, চিড়িয়াখানা ঢেলে সাজাচ্ছেন বনমন্ত্রী

হীরক কর : ঢেলে সাজানো হচ্ছে আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipore Zoo)। এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাপানের ‘জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি’ বা জাইকাকে (JAICA)। জাইকা টাইলস তুলে দিয়ে চিড়িয়াখানার হাঁটার পথে এক ধরনের ছোট ছোট পাথর বসাবে, যাতে জন্তু-জানোয়ারদের হাঁটার অসুবিধা না হয়। ইতিমধ্যেই জাইকার সঙ্গে  চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)।

বনমন্ত্রী জানান, “বর্তমানে চিড়িয়াখানায় যে বাঘের গুহা রয়েছে, তার চারধারে রয়েছে পরিখা। বাবা-মায়েরা সেই পরিখার ওপর বাচ্চাদের উঁচু করে তুলে ধরে বাঘ দেখাতে চান। এক বার হাত ফসকে বাচ্চা পরিখায় পড়ে গেলে কী ভয়ানক বিপদ হতে পারে, ভাবা যায়! তাই স্টিলের ফ্রেম দিয়ে ওই পরিখা ঘিরে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে তার মধ্যে জানলার মত থাকবে। এর মধ্যে দিয়ে বাঘ দেখতে হবে।

jyotipriya

চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথির আগমন হয়েছে। তবে এই অতিথিরা মোটেই বাইরে থেকে আসেনি। আলিপুর চিড়িয়াখানায় জন্ম হয়েছে নটি অ্যানাকোন্ডার (Anaconda)। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, ভারতের সমস্ত চিড়িয়াখানার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যানাকোন্ডা রয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই। সংখ্যার ভিত্তিতে দেশের সমস্ত চিড়িয়াখানার মধ্যে এগিয়ে আলিপুরই। নতুন জন্মানো নটি অ্যানাকোন্ডা সুস্থই রয়েছে বলে বনমন্ত্রী জানান।

গত ১১ জুলাই ৯টি অ্যানাকোন্ডার জন্ম হয়। ২০১৯ ম্যাড্রাস ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক থেকে চারটি অ্যানাকোন্ডা আনা হয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানায়। তার মধ্যে ২০১৯ সালে এক অ্যানাকোন্ডা ১১টি বাচ্চার জন্ম দেয়। এর মধ্যে ৭টি জীবিত রয়েছে। চলতি মাসে আরও ১১টি অ্যানাকোন্ডার জন্ম হওয়ায় বর্তমানে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ২০টি হলুদ অ্যানাকোন্ডা রয়েছে। ৬ দিনের ন’টি সদ্যোজাতর ওজন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। সেগুলি লম্বায় ১ ফুটের কাছাকাছি।

গত শনিবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নতুন অতিথিদের প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। ঘন কালোর উপর হলদে ছোপ দাগের মসৃণ কুণ্ডলী পাকানো সাপগুলি দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত সকলে। এখন নয়া অতিথিদের দেখভালের জন্য চিকিৎসক এবং কিপার মিলিয়ে মোট পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। ২৪ ঘন্টা সেগুলির দেখাশোনা করা হচ্ছে। অ্যানকোন্ডার শাবক জন্মাতে সময় লাগে প্রায় সাত মাস। বয়স চার বছর হলে তারা প্রজননক্ষম হয়। পরিণত বয়সে হলুদ অ্যানাকোন্ডার ওজন ১০০ থেকে ১৫০ কেজি, লম্বায় প্রায় ২০ ফুট। আর সদ্যোজাতদের ওজন ১০০ গ্রাম এবং লম্বা প্রায় এক ফুট। জানা গিয়েছে, জন্মানোর ১০ থেকে ১২ দিন পর অ্যানাকোন্ডার বাচ্চাদের খাবার দেওয়া হয়। এখন তাদের সপ্তাহে একদিন শুধু ছোট ইঁদুর খাওয়ানো হবে। বড় হলে সপ্তাহে দু’দিন ইঁদুর দেওয়া হবে।

অ্যানাকোন্ডা সব সময়েই দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয়, তাই চিড়িয়াখানায় সবুজ অ্যানাকোন্ডা আনারও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান বনমন্ত্রী।

spot_img
spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img