বিশেষ প্রতিনিধি : অধিগ্রহণের মাত্র ১০ মাসের মধ্যেই লাভের মুখ দেখল শাকম্ভরী গোষ্ঠীর সংস্থা এলিগ্যান্ট স্টিল। গত এপ্রিলে এসপিএস গোষ্ঠীর কাছ থেকে ২৭০ কোটি টাকায় এলিগ্যান্ট স্টিল কিনে নিয়েছিল শাকম্ভরী গ্রুপ। তখন ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি টাকা। এখনও বছর ঘোরেনি। এর মধ্যেই কোম্পানির নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি টাকা। বুধবার এক অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন শাকম্ভরী গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট(বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) অঙ্কিত মিত্তাল।
ক্ষতিতে চলা একটি সংস্থা মাত্র ১০ মাসের মধ্যে এভাবে লাভের মুখ দেখল কীভাবে? কোন জাদু মন্ত্রে তা’ সম্ভব হল? এর জবাবে শ্রীমিত্তাল জানান, গুণগত মান এবং সঠিক বিপণন কৌশলই তাঁদের সংস্থাকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। সেইসঙ্গে কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
অধিগ্রহণের সময় এলিগ্যান্টের বছরে উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ লক্ষ ৭০ হাজার টন। এখন তা’ বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সবাই চেনে, তাই কেনে, এই স্লোগানও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে দাবি করেছেন অঙ্কিত মিত্তাল। ইতিমধ্যে শাকম্ভরী ইস্পাত অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড পূর্ব ভারতে ‘fastest growing’ কোম্পানির মর্যাদা পেয়েছে।
ব্যবসায়িক সাফল্যের পথ ধরে কোম্পানির সম্প্রসারণ এবং আরও আধুনিকীকরণের পথে হাঁটছে এলিগ্যান্ট স্টিল কর্তৃপক্ষ। এতকাল সংস্থার উৎপাদন-ব্যবস্থা মূলত পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ভিন রাজ্যে ব্যবসা বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ।
এর মধ্যে আসাম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা, উত্তরপ্রদেশও। বর্তমানে রাজ্যের পুরুলিয়ায় ২টি এবং পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর ও সালানপুরে একটি করে কারখানা রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর২৪ পরগনার বিড়ায় আয়োজন করা হয়েছিল এলিগ্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার্স মিটের। সেখানে হাজির ছিলেন এলিগ্যান্টের আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়াররা।
অনুষ্ঠানে এলিগ্যান্টের উত্তর ২৪ পরগনার ডিস্ট্রিবিউটর সুশান্ত সাহা জানান, গত ২০ বছর ধরে তিনি এলিগ্যান্ট স্টিলের সঙ্গে যুক্ত। এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে তাঁর ব্যবসায়িক সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেন সুশান্তবাবু। তিনি বলেন, উত্তর ২৪ পরগনায় এলিগ্যান্ট টিএমটি বারের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী দিনগুলিতে রেকর্ড ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে।