প্রবাল চক্রবর্তী, মধ্যমগ্রাম : লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় বেরনো লোকজনকে লাঠিপেটা করছে পুলিশ, গত কয়েকদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম ভুরি ভুরি ছবি দেখা গেছে। হাওড়ায় পুলিশের মারে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে নানামহলে তুমুল বিতর্ক চলছে। পুলিশের বাড়াবাড়ি নিয়ে শেষপর্যন্ত মুখ খুলতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। পুলিশ সীমা ছাড়ালে কঠোর সাজা পেতে হবে, এই হুঁশিয়ারিও শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
এই বিতর্কের মধ্যেই পুলিশের মানবিক মুখ দেখলেন মধ্যমগ্রামের মানুষ। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতের। ঘড়িতে তখন রাত প্রায় ৮টা। লকডাউনের জেরে সদাব্যস্ত মধ্যমগ্রাম চৌমাথা তখন একেবারে শুনশান। নেই কোনও যানবাহন। নেই কোনও জনমানব। নিয়মমাফিক রাস্তায় টহল দিচ্ছিলেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। হঠাৎই তাঁদের চোখে পড়ে, স্বামীর হাত ধরে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক মহিলা। অসুস্থ স্ত্রীকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বামী। কিন্তু রাস্তায় তো গাড়িই নেই। যাবেন কী করে?
পরিস্থিতি অনুমান করে এগিয়ে আসেন মধ্যমগ্রাম ট্রাফিক পুলিশের ওসি গদাধর সিংহ রায়। সব কিছু শুনে এক অটোচালককে ডেকে নেন তিনি। এবং দুজনকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে বলেন। গদাধরবাবুর কথামত তাঁদের বারাসত মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছে দেন অটোচালক। বিপদের সময় এভাবে পাশে পাওয়ার পুলিশ অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞতাপ্রকাশ করেছেন ওই দম্পতি।