জয়ন্ত প্রধান, সাগর : ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ এখন ভিটেমাটি হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় ‘ফ্লাড সেন্টার’ এবং সরকারি স্কুলে।
দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলির মানুষের জন্য রবিবার থেকে তিনটি কমিউনিটি কিচেন চালু করল সুন্দরবন জেলা পুলিশ। এগুলি হল, মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়া কিশোর হাই স্কুল, ঘোড়ামারার মিলন বিদ্যাপীঠ এবং কাকদ্বীপের নারায়ণপুরের নারায়ণ বিদ্যামন্দির।
আজ মৌসুনি দ্বীপের কমিউনিটি কিচেনের উদ্বোধন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। এছাড়া অন্য দুটি কমিউনিটি কিচেনের উদ্বোধনে ছিলেন জেলা পুলিশের অন্য আধিকারিকরা।
আপাতত আগামী ১৫ দিন ধরে এখানে দুর্গতদের জন্য দু’বেলা রান্নাকরা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিদিন প্রায় এক হাজারের মতো মানুষের জন্য এখানে রান্না হবে। তারপর এই কিচেন চালানো হবে কিনা, তা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌসুনি দ্বীপ ড্রাই ফুড পাঠানো এবং বিভিন্ন জায়গায় রান্না করা খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।
পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুর্গত এলাকাগুলিতে ঘরহারা মানুষের মুখে খাবার পৌঁছে দিতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের অসহায় মানুষেরা এতে অনেকটাই উপকৃত হবেন। ঝড়ে ছাদ উড়িয়ে দিয়েছে, এমন ২০০টি পরিবারের হাতে আজ ত্রিপল তুলে দেওয়া হয়েছে। দুঃস্থ অসহায় মানুষেরা যাতে তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, সে ব্যাপারে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।”