শনিবার তৃণমূল (Trinamool) কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠক হতে চলেছে। বৈঠকে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে চলেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এমনকী তাঁকে দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবেও তুলে আনা হতে পারে। বর্তমানে তিনি যুব সভাপতির পদে রয়েছেন। কিন্তু এবারের ভোটে ময়তার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে যেভাবে প্রচার চালিয়েছেন, তা রাজনৈতিক মহলের নজর কেড়েছে। তাঁর ভাষণে যথেষ্ট রাজনৈতিক পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছেন অভিষেক।
মমতাকে পিসি আর অভিষেককে ভাইপো বলে বারবার কটাক্ষ করতে করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। কিন্তু বিজেপির আক্রমণের মোকাবিলা করে বিপুল ভোটে তৃণমূলের জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন এই যুব নেতা। তারই স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত হতে চলেছেন অভিষেক।
ভোটের আগেই এক ব্যক্তি এক পদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এবার তা কার্যকর করতে চলেছেন। আগে একই নেতাকে একাধিক সদে দেখা যেত। এখন তাঁর অবলুপ্তি ঘটতে চলেছে। মন্ত্রীরা শুধু মন্ত্রিত্বই সামলাবেন। দলে তাঁদের কোনও পদ থাকবে না। জেলা বা রাজ্য স্তরেও একই কার্যকর করা হবে।
দলবদলুদের নিয়ে দলের অবস্থান কী হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন মমতা। ভোটের পর বিজেপি ছেড়ে অনেকেই আবার তৃণমূলে (tmc) ফেরার আবেদন জানিয়েছেন। এঁদের মধ্যে সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাসরা ইতিমধ্যে মমতার কাছে চিঠিও দিয়েছেন। ফেরার লাইনে রয়েছেন আরও অনেকেই। মুকুল রায় ও শুভ্রাংশুর প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শুভ্রাংশু ইতিমধ্যে মধ্যে তৃণমূলে ফেরার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মুকুলের ফের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী সহ আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূলে ফিরতে চান বলে খবর। এছাড়া, জেলাস্তরেও রয়েছেন বহু নেতা। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, বিজেপির ৩ জন সাংসদ এবং ৮ জন বিধায়ক যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
এছাড়া, আগামী লোকসভা (loksabha) ভোটকে সামনে রেখে বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে।
বৈঠকে থাকতে পারেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর পরামর্শ মেনেই যাবতীয় রণনীতি তৈরি করেছিল তৃণমূল।