৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শুরু হচ্ছে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে। ওইদিন বিকেল ৪টেয় সল্টলেকে বইমেলা প্রাঙ্গনে এর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এ বছরের ফোকাল থিম কান্ট্রি জার্মানির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু কুমার দে সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এবারের মেলায় লিটল ম্যাগাজিন সহ ছোট, মাঝারি ও বড় প্রকাশক ও টেবিল সব মিলিয়ে ১০০০টি স্টল থাকছে। তাঁরা জানান, এবছর বইমেলা প্রকৃত অর্থেই খোলা আকাশের নীচে হতে চলেছে। মেলায় কোনও হল থাকছে না। তার বদলে বিশেষ স্থান চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সিনিয়র সিটিজেন দিবস ‘চিরতরুণ’ উদ্যাপিত হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। লেখক, প্রকাশক ও পাঠককে নিয়ে থাকবে আলোচনা সভা। মেলার প্রথম রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি শিশু দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। এবারের বইমেলায় নারায়ণ সান্যাল, সলিল চৌধুরী, ঋত্বিক ঘটক, তপন সিনহা, অরুন্ধতী দেবীর জন্ম শতবর্ষ এবং কাজী নজরুল ইসলাম ও জীবনানন্দ দাশের ১২৫তম জন্মবর্ষ পূর্তি উদযাপিত হবে।
অ্যাপের মাধ্যমে গুগল লোকেশন অনুযায়ী মেলার মধ্যে যে কোনো স্টল খুঁজে পাওয়ার সুবিধা থাকবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা সরাসরি ভার্চুয়ালি দেখা যাবে সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং ওয়েবসাইটের। বইমেলায় যারা আসতে পারছেন না তাঁরা ঘরে বসে দেখতে পারবেন বইমেলার অনুষ্ঠান।খুব সহজেই কিউ আর কোড স্ক্যান করে মেলার ডিজিটাল ম্যাপ এবং অংশগ্রহণকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন। মেলার সব গেটে থাকবে এই কিউ আর কোড।
সরাসরি ও যৌথভাবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে প্রায় ২০টি দেশ। বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল হবে ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কলকাতায় নিযুক্ত জার্মান কনসাল বারবারা ফস্ এবং কলকাতার গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যাস্ট্রিড ভেগে।