নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা (Nandigram repoll) সংক্রান্ত মামলার বিচারপতি কৌশিক চন্দকে (Justice Kaushik Chanda) ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। টুইটে দুই তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek ‘O Brien), কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) অভিযোগ করেছেন, বিচারপতি চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ। টুইটে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh BJP) সঙ্গে বিচারপতি কৌশিক চন্দের দুটি ছবিও পোস্ট করেছেন ডেরেক।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের প্রশ্ন, “ছবিতে যাঁকে গোল করে চিহ্নিত করা হয়েছে, ইনি কে? ইনি কি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ?” এরপর ডেরেক খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, “বিচারব্যবস্থা কি এতটা নীচে নামতে পারে?”
তৃণমূলের (Trinamool) রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষও শুক্রবার একটি ছবি ট্যুইট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির আইন সেলের একটি সভায় বক্তব্য রাখছেন দিলীপ ঘোষ। সেই মঞ্চে অন্যদের সঙ্গে বসে রয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। ট্যুইট কুণাল লিখেছেন, বিজেপি দরদী বিচারপতি কৌশিক চন্দের নন্দীগ্রামের মামলা নিরপেক্ষ থাকবে তো? কুণালের অনুরোধ, বিচারপতি চন্দ যেন মামলাটি ছেড়ে দেন।”
আজ এই ইস্যুতে মুখে কালো মাস্ক ও হাতে পোস্টার নিয়ে হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বিচারপতি চন্দ বিজেপির সক্রিয় সদস্য। পোস্টারে লেখা ছিল,”বিচারব্যবস্থার সঙ্গে রাজনীতি করবেন না।”
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টে একসময় তিনি কেন্দ্রের হয়ে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (Additional Solicitor General) হিসেবে কাজ করেছেন। আইনজীবী হিসেবে সিবিআই (CBI) এবং কেন্দ্রের পক্ষে একাধিক মামলায় লড়াই করেছেন।
ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অমিত শাহের একটি সভা বাতিল করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এরপর এর বিরুদ্ধে আদালতে যায় বিজেপি। সেই মামলায় বিজেপির হয়ে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন বিচারপতি চন্দ। এই মামলার সূত্রেই বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্র আইনজীবীদের যে প্যানেল তৈরি করেছিল, তাতে রাহুলের সুপারিশে এই বিচারপতির নামও রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ। সেই সূত্রে তিনি এই রাজ্যে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং রাজ্যের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা লড়েছিলেন।