অভিজিৎ মুখার্জি : এবারের পুজোয় দেবী দশভুজার ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পায়ে হাওয়াই চটি, পরনে সাদাপাড়ের শাড়ি, আর হাতে শুধু একটা চুড়ি। কানে ঝুটা মুক্তার টব। মমতার আদলে তৈরি এই মূর্তি এবার দেখা যাবে বাগুইআটির নজরুল পার্ক সার্বজনীন দুর্গাপুজোয়।
ফাইবার গ্লাসের মূর্তিটি তৈরি করছেন কুমোরটুলির বিশিষ্ট শিল্পী মিন্টু পাল। কোনওরকম ঢাকঢোল বাজিয়ে নয়, এই মূর্তি গড়ার কাজ চলছে একেবারে গোপনে। শিল্পী বলেন, “মূর্তি গড়ার গিয়ে মাথায় রাখতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবন ও তাঁর উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজকে।”
এবারের পুজোয় বাগুইআটির এই পুজো কমিটির থিম হল, তুমিই ভরসা অর্থাৎ ভরসার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দশভুজারূপী এই মমতার হাতে থাকবে না ত্রিশূল, খাড়া, গদার বা অসুর নিধনের অন্য কোনও অস্ত্র। বদলে তাঁর দশ হাতে থাকবে দশটি প্রকল্প। এগুলির মধ্যে রয়েছে, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথী, কৃষক বন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে সরকার, চোখের আলো, সমব্যথী প্রভৃতি।
পুজো কমিটির সভাপতি ইন্দ্রনাথ বাগুই জানান, “রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক ও জনমুখী প্রকল্পগুলিই আমরা তুলে ধরছি। মূল মণ্ডপটি হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আদলে। তবে, মমতার এই মূর্তি পূজিত হবে না। মণ্ডপে থাকবে আরও একটি দুর্গামূর্তি। সেটিরই পুজো হবে।”
শুধু প্রতিমা নয়, মণ্ডপ সজ্জাতেও থাকছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প। রাজ্য সরকারের ‘চোখের আলো’ প্রকল্পকে তুলে ধরতে চোখের আদলে তৈরি করা হচ্ছে মন্ডপের প্রবেশপথ। এর ভিতরে থাকছে মমতার মূর্তি।
এর মধ্যে কোনওরকম রাজনীতি চান না পুজোর আয়োজকরা। পুজোর উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর জনমুখী প্রকল্পগুলিকে তুলে ধরা হচ্ছে। এর সঙ্গে রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।”
২০১৬ সালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে দুর্গা মূর্তি তৈরি করেছিল নদিয়ার চাকদহের প্রান্তিক ক্লাব।