হোমকলকাতাকরোনো ত্রাসে রক্তের আকাল, সঙ্কট-মোচনে পথ দেখালেন স্বেচ্ছাসেবী-কর্তা

করোনো ত্রাসে রক্তের আকাল, সঙ্কট-মোচনে পথ দেখালেন স্বেচ্ছাসেবী-কর্তা

করোনো ত্রাসে রক্তের আকাল, সঙ্কট-মোচনে পথ দেখালেন স্বেচ্ছাসেবী-কর্তা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মধ্যমগ্রাম : করোনার জেরে বন্ধ রক্তদান শিবির। রাজ্যের ব্লাড-ব্যাঙ্কগুলিতে তাই রক্তের আকাল দেখা দিয়েছে। কবে করোনা-সঙ্কট মিটবে, কবে আবার রক্তদান শিবির করা সম্ভব হবে, কোনওটাই এখন নিশ্চিত নয়। তাহলে বিপুল রক্তের চাহিদা মিটবে কী করে? কোথায় রক্ত পাবেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তরা? জরুরি প্রয়োজনে মানুষ কোথায় পাবেন রক্ত? মুশকিল আসানে সোমবার বারাসত হাসপাতালের ব্লাড-ব্যাঙ্কে নিজেই গিয়ে রক্ত দিলেন মধ্যমগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন MASS- এর সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী।

অনির্বাণের কথায়, তাঁর ৫৩ বছরের জীবনে এ পর্যন্ত ৫৫ বার রক্ত দিলেন। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে এভাবে রক্ত দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। এই সঙ্কটকালে সাধারণ মানুষ যাতে ব্লাডব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দিতে উৎসাহী হন, সেই ভাবনা থেকেই তাঁর এই রক্তদান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রক্তদানের কথা জানাজানি হতেই ১০ জনেরও বেশি উৎসাহী ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অনির্বাণ জানালেন, ব্লাডব্যাঙ্কে অযথা ভিড় না বাড়িয়ে একদিন অন্তর একজন বা দুজন রক্তদাতাকে তিনি সেখানে পাঠাতে চান। এভাবে হয়ত রক্তের সঙ্কট পুরোপুরি মিটবে না। তবুও চাহিদার কিছুটা অন্তত মেটানো সম্ভব হবে। এমনটাই মনে করেন অনির্বাণ।

অনির্বাণ জানিয়েছেন, তাঁর নিজের সংগঠন MASS রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় স্কুলে স্কুলে থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় শিবিরের আয়োজন করে থাকে। সেই শিবিরে যাদের রক্তে থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে, তাদের প্রত্যেকের সারা জীবনের জন্য রক্তের জোগান দিয়ে থাকে MASS । এদের কথা বাদ দিলেও রাজ্যজুড়ে বহু থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রয়েছে। তাদের রক্তের জোগান আসবে কোথা থেকে? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। অনির্বাণ জানালেন, মাস-এর রয়েছে নিজস্ব রক্তদাতা বাহিনী, যার সদস্যরা সারা বছর ধরেই জরুরি প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে থাকেন।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img