হোমরাজ্যহ্যামার থ্রোয়ার থেকে 'গ্যাংস্টার' জয়পাল

হ্যামার থ্রোয়ার থেকে ‘গ্যাংস্টার’ জয়পাল

হ্যামার থ্রোয়ার থেকে ‘গ্যাংস্টার’ জয়পাল

জয়পাল সিং ভুল্লার। হ্যামার থ্রোয়ার থেকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার হয়ে ওঠা জয়পাল ছিল পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় সরকারি স্পোর্টস ট্রেনিং সেন্টার স্পিড ফান্ড অ্যাকাডেমির ছাত্র। সেখানেই তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে আর এক খেলোয়াড় হ্যাপির সঙ্গে।

এরপর একের পর অপরাধে জড়িয়ে পড়ে জয়পাল। প্রথম অপারেশন ২০০৪ সালের জুলাইয়ে।লুধিয়ানার সিনেমা হল মালিকের ৭ বছরের ছেলে চিরাগকে অপহরণ করে জয়পাল ও হ্যাপি। এই ঘটনায় জয়পালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলে থাকার সময় অন্য দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত রাজীব ওরফে রাজার সঙ্গে।

জয়পাল ও রাজা মিলে তৈরি করে গ্যাংস্টারদের একটি দল। এরপর বন্দুক কারখানায় ডাকাতি, ব্যাঙ্ক ডাকাতি, হাইওয়েতে গাড়িতে লুটপাট চালাতে থাকে এই দল।

২০০৯ সালের জুলাইয়ে জয়পাল এবং তার একাধিক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে প্রমাণ না মেলায় তাদের ছেড়ে দিতে হয়। চণ্ডীগড়ের জেলে থাকার সময় রকি নামে এক দুষ্কৃতীর বন্ধুত্ব হয় জয়পালের। তৈরি হয় নতুন দল। তবে এই গ্যং বেশিদিন টেকেনি। নিজেদের মধ্যে ঝামেলার কারণে ভেঙে যায়। এরপর মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়ে জয়পাল।

জয়পালের বাবা পঞ্জাব পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, রাজস্থানে খুন, তোলাবাজি, অপহরণ, ডাকাতি এবং পাচার-সহ ৪৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে জয়পালের নামে।
গত ৫ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল জয়পাল। তার গতিবিধির আঁচ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। কারণ সে খুব একটা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না।

জয়পালের নামে ১০ লক্ষ টাকা এবং জসপ্রীতের নামে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পঞ্জাব পুলিশ।

অবশেষে মধ্যপ্রদেশে ধরা পড়ে জয়পালের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তাদের বিরুদ্ধে দুই এএসআই-কে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এই দুজনকে জেরা করে নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে জয়পালের লুকিয়ে খবর জানতে পারে পুলিশ। সেই সূত্রে আজ অভিযান চালায় পুলিশ।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img