সোম ও মঙ্গলবার, এই ২ দিনে রাজ্যে বাজ (Thunderstorm) পড়ে এ মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। সোমবার একদিনেই মারা গেছেন ২৭ জন। বর্ষাকালে বজ্রপাত আমাদের দেশে বা এই রাজ্যে নতুন কোনও ঘটনা নয়। প্রতি বছরই বজ্রপাতের বলি হন বহু মানুষ। বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য কী কী করণীয়, সে সম্পর্কে একগুচ্ছ সতর্কবার্তা জারি করেছে দমকল Fire Brigade) বিভাগ এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর।
১. এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে থাকাই নিরাপদ।
২. খোলা জায়গা বা মাঠে কাজ করার সময় হঠাৎ যদি বজ্রপাত শুরু হয়, পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
৩. খোলা জায়গায় কোনও বড় গাছের নীচে কখনোই আশ্রয় নেবেন না। গাছ থেকে অন্তত চার মিটার দূরে থাকতে হবে।
৪. খোলা জায়গায় একসঙ্গে অনেকে থাকলে, বজ্রপাতের সময় সবাই ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।
৫. বজ্রপাত শুরু হলে, যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
৬. কোনও বাড়িতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে, সবাই এক ঘরে না থেকে আলাদা আলাদা ঘরে থাকুন।
৭. বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
৮. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে, জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না। ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
৯. বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে থাকা নিরাপদ নয়। গাড়ির থাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়ি সহ কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
১০. বজ্রপাতের ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
১১. প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড বসানো আবশ্যক।
১২. ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকুন। বৈদ্যুতিক তারের নিচ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।
১৩. বজ্রপাতের সময় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলি লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখুন।
১৪. ঘন-কালো মেঘ দেখা গেলে অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন।
১৫. উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
১৬. বজ্রপাতের সময় জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
১৭. কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
১৮. বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা করতে দেবেন না।
১৯. বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
২০. বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকের মতোই চিকিৎসা করতে হবে।