প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত দার্জিলিং (Darjeeling) পার্বত্য এলাকা সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে। প্রবল বর্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন অংশে ধস নামায় পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন বহু এলাকা। আটকে পড়েছেন পর্যটকরাও। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পর্যটকদের আপাতত পাহাড়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দার্জিলিংয়ের বেশ কিছু এলাকায় ধস নেমেছে। কালিম্পং এবং গ্যাংটকগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ২৯ মাইল, ১০ মাইল, ১১ মাইল সহ কয়েকটি জায়গায় ধসের জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ি-সিকিম রোডে যান চলাচল এখন বন্ধ রয়েছে।
সোমবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গে একটানা বর্ষণ চলছে। বুধবার সকালে দার্জিলিঙের বিজনবাড়ি, রিমবিক এলাকায় ধস নামায় কালিম্পং এবং কার্শিয়াঙের বিভিন্ন অংশে আটকে পড়েছেন অসংখ্য পর্যটক।
ধস নেমেছে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কেও। এই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ। তাই বিকল্প হিসেবে রোহিণী রোড ধরে যানবাহন যাতায়াত করছে। ত্রিবেণীর কাছে রাস্তার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। লাভা থেকে গরুবাথান যাওয়ার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বালাসন সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : উত্তরে প্রবল বর্ষণ, স্বস্তি দক্ষিণে, শুক্রবার থেকেই কলকাতায় শীতের আমেজ
তিস্তা ক্রমশ ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে। রীতিমতো বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জলঢাকার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
শুধু পাহাড় নয়, সমতল এলাকার পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক। জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকা ভাসছে। সুকান্তনগর, চাঁপাডাঙা, বোয়ালমারি, সারদাপল্লির মতো এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসনের আশঙ্কা, এই অঝোর না থামলে, পাহাড়ের আরও বহু জায়গায় ধস নামবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে কয়েক হাজার পর্যটক পাহাড়ে আটকে পড়েছেন। তাঁদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।