কলকাতায় দূষণের মাত্রা দিন দিন যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এখনই সতর্ক না হলে, পরিস্থিতি দিল্লির মতো ভয়াবহ হতে পারে। বৃহস্পতিবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শহরের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির চিকিৎসক।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা বলেন, বিভিন্ন ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে, বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। শীতের মরসুমে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি নিয়েও সতর্ক করেছেন তাঁরা।
চিকিৎসক সুমন মল্লিক বলেন, “বায়ুদূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বড় বিপদ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।”
বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. অনুপ হালদার জানান, “হাঁপানির কারণে বিশ্বে মৃতদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত। আর সিওপিডি-তে মৃত্যুর ক্ষেত্রে রয়েছে দুই নম্বরে। অন্য দেশগুলিতে সাধারণত ধুমপায়ীরাই সিওপিডি-তে আক্রান্ত হন। কিন্তু ভারতে এই রোগে আক্রান্তদের বেশিরভাগই অ-ধুমপায়ী।”
Lung Care Foundation-এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. অরবিন্দ কুমারের মতে, মাতৃ জটরে শিশু যখন বেড়ে উঠছে, তখন থেকেই দূষণের কু-প্রভাবের কবলে পড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গ ডক্টর্স ফোরামের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কৌশিক চাকী বলেন, “বায়ুদূষণ শিশুদের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফুসফুসও ক্রমশ প্রসারিত হতে থাকে।”
১৯৮৪-র ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় মৃতদের স্মরণে প্রতি বছর ২ ডিসেম্বরকে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই উপলক্ষে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ডক্টর্স ফর ক্লিন এয়ার-এর সঙ্গে যৌথভাবে এই বৈঠকের আয়োজন করেছিল সুইচ অন ফাউন্ডেশন।
সুইচ অন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিনয় জাজু বলেন, যানবাহনের ধোঁয়া থেকেই বায়ুদূষণ বাড়ছে। তাই সাইকেল সহ দূষণহীন পরিবহন ব্যবস্থার দিকে বেশি নজর দেওয়া জরুরি।