“বই কিনুন, লাইব্রেরি জিতুন”, পুস্তকপ্রেমীদের জন্য এবারের মেলায় এটাই পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের স্লোগান। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে বলেন, চার দিন বই বাম্পার লটারি হবে। এই চারদিনের প্রতিদিন একজন করে ভাগ্যবান বিজেতা নিজের লাইব্রেরি ভরিয়ে তুলতে ২৫ হাজার টাকা মূল্যের বুক গিফট্ কুপন পাবেন।” অর্থাৎ গিল্ডের এই বইবান্ধব উদ্যোগে লাভবান হবেন চার জন বইপ্রেমী।
করোনা অতিমারীর বাধাকে দূরে সরিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু দে এবং সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
সুধাংশুবাবু বলেন, “এবারেও মেলায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য থাকছে সুসজ্জিত সিইএসসি সেন্টার। প্রতিদিন সেখানে লটারির আয়োজন করা হবে। প্রতিদিন ১৫ জন ভাগ্যবান বিজেতা প্রত্যেকে পাবেন মেলা থেকে বই কেনার জন্য এক হাজার টাকার অর্থাৎ মোট ১৫ হাজার টাকার বুক গিফট কুপন পাবেন।”
গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই প্রথম কলকাতা বইমেলা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি ভার্চুয়ালি দেখা যাবে। বইমেলায় যাঁরা আসতে পারছেন না, বা নানা রাজ্যে, বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন, তাঁরা ঘরে বসেই বইমেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন।”
২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটেয় সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক প্রাঙ্গনে মেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকছেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী কে এম খালিদ এম পি এবং বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। উদ্বোধন মঞ্চ থেকেই সিইএসসি সৃষ্টি সম্মান ২০২২ প্রদান করা হবে বিশিষ্ট সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়কে।
গিল্ডের দুই শীর্ষ কর্তা জানান, কলকাতা বইমেলায় এবার প্রায় ৬০০টি স্টল এবং ২০০ লিটল ম্যাগাজিনের স্টল থাকছে। ৯টি তোরণের প্রতিটি দিয়েই মেলায় ঢোকা ও বেরোনো যাবে। মেলার থিম বাংলাদেশ। তাই তিনটি গেট হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বইয়ের আদলে। এছাড়া অন্যান্য তোরণের মধ্যে থাকছে বিশ্ববাংলা গেট, সত্যজিৎ রায় গেট এবং অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেট।
বইমেলায় মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বাস পরিষেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রতিটি রুটে অটোর ভাড়াও নির্ধারিত করা হচ্ছে।
এবারের বইমেলায় সরাসরি ও যৌথভাবে অংশ নিচ্ছে ২০টি দেশ। এই প্রথম আসছে ইরান। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আসছেন প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশের প্রকাশক। বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল হবে ১১ এবং ১২ মার্চ।