হোমবিনোদনMIFF:  ‘মিশন লাইফ’-এ একগুচ্ছ ছবিতে পরিবেশ রক্ষার বার্তা

MIFF:  ‘মিশন লাইফ’-এ একগুচ্ছ ছবিতে পরিবেশ রক্ষার বার্তা

MIFF:  ‘মিশন লাইফ’-এ একগুচ্ছ ছবিতে পরিবেশ রক্ষার বার্তা

পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকদের মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে মুম্বই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (এমআইএফএফ)-এর অষ্টাদশ সংস্করণে ‘মিশন লাইফ’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্যাকেজ প্রদর্শিত হবে। এই বিভাগে মনোনীত পাঁচটি ছবিতে মানুষের সঙ্গে পৃথিবীর সূক্ষ্ম সম্পর্ক এবং পারস্পরিক নির্ভরতা তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবিগুলিতে গ্রহের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এবং সম্প্রীতির সঙ্গে সহাবস্থানের জরুরি প্রয়োজনীয়তার বার্তা দেওয়া হয়েছে। ‘মিশন লাইফ’ – এই বিশেষ প্যাকেজে যে ছবিগুলি দেখানো হবে:

১. সেভিং দ্য ডার্ক: বিশ্বের ৮০ শতাংশ মানুষ আর ছায়াপথ দেখতে পাবেন না। আমরা যদি তারা না দেখতে পাই, তাহলে আমরা কী হারাব? অতিরিক্ত আলো আমাদের থেকে রাতের আকাশকে কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং নিশাচর প্রাণীরা হয়ে পড়ছে অসহায়। বর্তমানে এলইডি প্রযুক্তির উন্নতিতে অনেক শহরই রাস্তাগুলিকে সুরক্ষিতভাবে আলোকিত করতে পারছে। রাতের পরিবেশকে নষ্ট না করেই শক্তির সাশ্রয় ঘটাতে পারছে। ‘সেভিং দ্য ডার্ক’ ছবিতে রাতের আকাশকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরা হয়েছে এবং  আলোর দূষণের বিরুদ্ধে আমরা কীভাবে লড়াই করতে পারি, তুলে ধরা হয়েছে তাও।

২. লক্ষ্মণ রেখা: ‘লক্ষ্মণ রেখা’ ছবিটি লক্ষ্মণ সিং-এর জীবনের একটি অন্তরঙ্গ ছবি তুলে ধরেছে। স্কুলছুট ছেলেটি খরা পীড়িত একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাশ্রমিক বাহিনী গড়ে কীভাবে ভারতের বিখ্যাত মরুভূমি অঞ্চলের ৫৮টি গ্রামের পরিবর্তন ঘটালো, তারই কাহিনী এই ছবি। এমনকি আজও সেখানে জল অপ্রতুল। কিন্তু প্রতিটি বিন্দু জল সংরক্ষণ সম্পর্কে সে সচেতনতা জাগিয়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

৩. দ্য ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ: আমরা জলবায়ু সঙ্কটের একদম শেষ সীমায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলি, যেগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় শিকার, সেগুলি হল বিশ্বের ক্রায়োস্ফেরিক রিজিয়ন (সুমেরু, কুমেরু এবং হিমালয় অঞ্চল) এবং সমুদ্রও। সুমেরু সাগরে বরফের আচ্ছাদন গত কয়েক বছরে ৩০ শতাংশ কমে গেছে। ‘দ্য ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ’ আপনাকে নিয়ে যাবে সুমেরু, হিমালয় এবং দক্ষিণ সাগরে, যেখানকার পরিস্থিতি মানুষকে বিপন্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

৪. দ্য জোয়ার ব্যালাড: দেশীয় নানা বৈচিত্র্যের মিলেট, নানা ধরনের রন্ধনশৈলী, এর সঙ্গে জোয়ার চাষের চিরাচরিত প্রথা মিশে আমাদের সামনে জীবন্ত হয়ে ধরা দিয়েছে ‘জোয়ার গাথা’ (দ্য জোয়ার ব্যালাড) ছবিতে। সমৃদ্ধ ঐতিহ্য প্রকাশ পেয়েছে গান, আচার আচরণ, নানা কাহিনীর মাধ্যমে। কৃষকরা শুনিয়েছেন শুষ্ক জায়গায় মিলেট চাষ কমে যাওয়ার কথা। প্রবীণরা জানিয়েছেন, নতুন কৃষি বীজ ও চাষের ধরন, স্বাস্থ্য এবং ফসলের পক্ষে কীভাবে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

৫. পেং ইউ সাই: পেং ইউ সাই একটি তদন্তমূলক তথ্যচিত্র। ভারত মহাসাগর থেকে মান্তা রে-তে বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে। এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত ছবি নির্মাতা মালাইকা ভাজ ভারত মহাসাগরে মাছ ধরার নৌকা থেকে বিভিন্ন বেআইনি কাজের অনুসন্ধানে ভারত-মায়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছেন। তুলে ধরেছেন চিনের গুয়াংঝাউ এবং হংকং-এ বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের আস্তানার খবর। এই অভিযানে তিনি কথা বলেছেন মৎস্যজীবী, দালাল, চোরাচালানকারী, সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ান এবং বন্যপ্রাণ ব্যবসায়ীদের মাথার সঙ্গে, তিনি বুঝতে চেয়েছেন, কীভাবে সমুদ্রের অমূল্য সম্পদগুলিকে রক্ষা করা যায়।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img