হোমরাজ্যমহা ফ্যাসাদে শুভেন্দু! ত্রাণ চুরিতে FIR, চাকরি-প্রতারণায় ধৃত ঘনিষ্ঠ

মহা ফ্যাসাদে শুভেন্দু! ত্রাণ চুরিতে FIR, চাকরি-প্রতারণায় ধৃত ঘনিষ্ঠ

মহা ফ্যাসাদে শুভেন্দু! ত্রাণ চুরিতে FIR, চাকরি-প্রতারণায় ধৃত ঘনিষ্ঠ

বেজায় বিড়ম্বনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary)। একদিকে ত্রাণ (Relief) চুরির অভিযোগে শুভেন্দু ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার (Fraud) অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা। শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী যখন রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন, তখন রাখাল বেরা সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ।

চাকরির নামে প্রতারণা:
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা সুজিত দে নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, ২০১৯ সালে সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে মোট ২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন রাখাল বেরা ও চঞ্চল বেরা।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুজিতবাবু জানতে পারেন, টাকা দিয়ে সেচ দফতরের চাকরি মিলছে।
চাকরির জন্য তিনি যোগাযোগ করেন রাখাল এবং চঞ্চলের সঙ্গে। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও চাকরি না মেলায় দুজনের নামে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাসিন্দা রাখালকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে এখনও ফেরার চঞ্চল।

কে এই রাখাল বেরা?
কলকাতার বড়বাজারে অবস্থিত কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের (Contai Co-operative Banj) ডিরেক্টর রাখাল বেরা একসময় শুভেন্দু অধিকারীর আপ্ত সহায়ক ছিলেন। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই তিনি ওই সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর পদে বসতে পেরেছিলেন। কলকাতায় তাঁর একটি ব্যবসাও রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল নেতা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “আগে থেকেই এই তদন্ত চলছিল। শুভেন্দু অধিকারী সেচমন্ত্রী থাকার সময় চাকরি দেওয়ার নাম করে কিছু আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল।” তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন ও অন্যান্য প্রমাণ হাতে পায়। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাখাল বেরাকে।

রাখালকে নিয়ে এই বিড়ম্বনার মধ্যেই ত্রিপল চুরির মামলায় নাম জড়িয়েছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

কাঁথি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রত্নদীপ মান্না এক লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ২৯ মে পুরসভার সরকারি গুদাম গোডাউন ট্রাক বোঝাই করে ত্রিপল চুরি করা হয়েছে। এই চুরির পিছনে হাত রয়েছে শুভেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারীর। তাঁর অভিযোগে, চার-পাঁচজন সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ঢুকে ত্রাণের জন্য রাখা ত্রিপল চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ত্রিপল চুরির কথা জানতে পেরে পুরসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে সেই গুদামে যান রত্নদীপ। সেখানে তাঁরা হিমাংশু মান্নার মুখোমুখি হন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে, হিমাংশু তাঁদের জানান, শুভেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই এই ত্রিপল সরানো হয়েছিল। শুভেন্দু-সহ চারজনের বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

দুটি ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন শুভেন্দু। অন্যদিকে, পুলিশের ধারণা, রাখালকে জেরা করে চাকরির প্রতারণা নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। এর মূল মাথা কে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img