২০ বছর পর আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ল আমেরিকার সর্বশেষ সামরিক বিমান। এর ফলে দুই দশক পর আফগানিস্তানে (Afghanistan) মার্কিন সেনার অবস্থানের অবসান ঘটলো।
তালিবান আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ৩১ অগাস্টের মধ্যে মার্কিন বাহিনীকে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে। সেই সময়সীমা মেনেই মার্কিন সেনা স্বদেশে ফিরে গেল।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে সঙ্গে করে সর্বশেষ সি-১৭ বিমান কাবুল ছেড়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যাঁরা এখনো কাবুল ত্যাগ করতে পারেননি, কূটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে তাঁদের সহায়তা করার কাজ চলবে।
এদিকে, আমেরিকার শেষ বিমানটি আফগানিস্তানের মাটি ছাড়তেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে তালিবান। বোমা, গুলি, বাজি ফাটিয়ে তারা মুক্তির উল্লাস দেখাতে থাকে। সেইসঙ্গে দিনটিকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে তালিবান।
তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ মঙ্গলবার বলেছেন, “মার্কিন সেনা কাবুল বিমানবন্দর ছেড়েছে। এবার আমাদের দেশ পুরোপুরি স্বাধীনতা পেল।”
১৪ অগাস্ট কাবুলের (Kabul) দখল নিয়েছিল তালিবান। সেই সময় থেকেই মূলত কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর থেকে উদ্ধারের কাজ চলছিল।
জেনারেল ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং জোট বাহিনীর বিমানে করে এক লক্ষ ২৩ হাজার অসামরিক ব্যক্তিকে সরিয়ে আনা হয়েছে। কাবুল ছাড়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রতিদিন সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ।
গত ১৭ দিন ধরে চলা এই উদ্ধার অভিযানে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
২০০১ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করেছিল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী। সেই বছর নভেম্বরে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় মার্কিন জোট সমর্থিত তালিবান বিরোধী বাহিনী নর্দার্ন অ্যালায়েন্স (Northern Alliance)।