হোমঅন্যান্যএক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই!

এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই!

এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই!

দীপঙ্কর বসু
আরে বাবা যেমন মাদার্স বা ফাদার্স ডে বলে কিছু হয় না, তেমনি চায়ের আবার দিবস হয় নাকি। তাও আবার বাঙালিদের কাছে। ধুর! ওদের ইচ্ছে মতো দিবসে আমরা নেই। কী বলেন?
আমাদের সকালে চা, দুপুরে চা, বিকেলে চা, সন্ধ্যায় চা। চা নিয়ে তর্ক বিতর্ক, চা প্রেমিক বাঙালির চা নিয়ে চর্চা লেগেই আছে। চা নিয়ে কত কবিতা, কত কাব্য। একজন তো গেয়েই ফেললেন “এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই”, এই কথাটা আপামর বাঙালির মুখে মুখে।

অনেক চায়ের কথা বললাম, এবার আমার অনেক প্রিয় জায়গার মধ্যে দুটি জায়গার চায়ের কথাটি বলি, আমার সবচেয়ে চা ভালো লেগেছিল মানালির ফর্ন রেস্তারাঁর চা আর পাহাড়ি রাস্তার কোনো এক দোকানের চা- আহা কি স্বাদ! কি ঘ্রাণ! ওই চা পানে যে অনুভূতি আমার হয়েছিল তা আমি ভাষায় ব্যক্ত করতে পারবো না, আজও মনে পড়লে আমার রসনা তৃপ্ত হয়ে ওঠে।

আর পাড়ার সুনু বৌদির চা। সে তো যুগ যুগ জিও! বস্ কোনো কথা হবে না। একটা কথা কানে কানে বলছি, এটা আবার পাঁচ কান করবেন না। আসলে সুনু বৌদি নয় সুনু দাদা, পাড়ার মহিলারা এই নামকরণ করেছে। সবার একটাই কথা, সুনুর চা না খেলে নাকি কত্তাদের পেটের ভাত হজম হয় না।

আর ট্রেনের চা সে তো এক কথায় লা জবাব! দূরপাল্লার ট্রেনে ঘুমিয়ে আছেন ভোর হয়েছে। চা-চা- চায়ে গরম এই ডাকে আপনার ঘুম ভাঙল। আপনি দৌড়ে গিয়ে এক কাপ ধূমায়িত চা নিয়ে একটু চুমুক। এক চুমুকেই-চমক–আহ্! কী শান্তি! ঠিক কিনা বলুন?

আর কলকাতার গুরুদুয়ারার পাশের বিখ্যাত ধাবায় যে চা না খেয়েছে, সে চায়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। 20 টাকা দিয়ে এক কাপ নাও ব্যাস দুজনের মন খুশ হয়ে যাবে। আর বর্তমানে একপ্রকার করা চা, তন্দুর চা। ধুর ধুর, এসব আবার চা নাকি!!

তবে সব কথার শেষ কথা, সক্কাল সক্কাল তেনার হাতের ধুমায়িত লাল চা, সাথে গরম খবরের কোনো তুলনা নেই।
তবে একটা কথা আমার এই কাঁচা মগজে আসে না, চা পান করলে নাকি…বুদ্ধি, একগ্রতা বাড়ে! আমি বাপু অতশত বুঝি না। আরো অনেক চা নিয়ে ইতিহাস আছে, সেটা নয় একদিন গল্প দাদুর আড্ডায় বলা যাবে।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img