হোমঅন্যান্যনিজেদের সাফল্যের কাহিনী শোনালেন উদ্যোগপতি নারীরা

নিজেদের সাফল্যের কাহিনী শোনালেন উদ্যোগপতি নারীরা

নিজেদের সাফল্যের কাহিনী শোনালেন উদ্যোগপতি নারীরা

দেশের শিল্প জগতে এখন পথ দেখাচ্ছেন নারীরাও। তাই মহিলা উদ্যোগপতির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। নারী দিবসের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা চক্রের আয়োজন করেছিল বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের ডিরেক্টর এবং মার্কেটিং ও ডিজাইন বিভাগের প্রধান জয়িতা সেন শোনালেন পারিবারিক ব্যবসায় তাঁর জড়িয়ে পড়ার কাহিনী। তিনি বলেন, “সোনা এবং হীরের গয়নার প্রতি মানুষের বরাবরই বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। নতুন প্রজন্মের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে ২০০৭ সাল থেকে আমরা রুপো এবং অন্যান্য উপকরণের কস্টিউম জুয়েলারি বিক্রি চালু করেছি।” নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁদের গয়নার জনপ্রিয়তাও বাড়ছে বলে জানান জয়িতা।

শ্রীলেদার্স লিমিটেডের ডিরেক্টর রচিতা দে বলেন, “শুধু বাংলা নয়, দেশের ১০টি রাজ্যে এখন আমাদের ব্যবসা চলছে। বর্তমানে আমাদের শো-রুমের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮।” ব্যবসার সাফল্যের পিছনে তাঁর নিজের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন রচিতা।

অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গে নাবার্ড-এর আঞ্চলিক অফিসের চিফ জেনারেল ম্যানেজার ঊষা রমেশ। মহিলারা বেশি সংখ্যায় ব্যবসার প্রতি উৎসাহিত হচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি। বাংলায় ব্যবসায় মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ভূমিকার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি নাবার্ড কীভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেকথাও তুলে ঊষা দেবী। তিনি বলেন, বাংলার মহিলারা যাতে সহজে ঋণ এবং তাঁদের পণ্যের বাজার পেতে পারেন, সেজন্য ফার্মার প্রোডিউসার অর্গানাইজেশনও তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের তৈরি পণ্যের বিক্রি বাড়াতে বাজার বাড়াতে মেলার আয়োজনেও তাঁরা সহায়তা করছেন বলে জানান ঊষা।

অন্যান্যদের মধ্যে যাঁরা এই আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন, খোসলা ইলেকট্রনিক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) খুশবু খোসলা গুপ্তা, এমসিসিআই মহিলা ফোরামের চেয়ারপার্সন নীতা বাজোরিয়া প্রমুখ।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img