আগে সুগারের নামগন্ধ ছিল না, গর্ভাবস্থার ২৬–২৮ সপ্তাহে হঠাৎই বেড়ে গেল রক্তে শর্করার পরিমাণ। অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয়। এর নাম জেস্টেশনাল ডায়াবিটিস৷
মূলত প্রেগন্যান্সি হরমোনের দৌলতেই হয় এ রকম। অনিয়ম করলে আশঙ্কা আরও বাড়ে। এ ছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই অসুখের প্রভাব বাড়ে। যেমন:
- পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকলে এই রোগের শঙ্কা বাড়ে।
- আগের গর্ভাবস্থায় জেস্টেশনাল ডায়াবিটিস হয়ে থাকলেও ভয় থাকে।
- মায়ের বয়স ৩৫–এর বেশি হলে সাবধান হতে হবে।
- রক্তের সম্পর্কযুক্ত ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ডায়াবেটিস হলে আশঙ্কা থেকে যায়।
- আগের সন্তানের যদি জন্মগত ত্রুটি থাকে সে ক্ষেত্রে বা ৯ পাউন্ডের বেশি ওজন নিয়ে যদি সে জন্মে থাকে তা হলেও অসুখের সম্ভাবনা বাড়ে।
- হবু মায়ের হাইপ্রেশার থাকলে, অ্যামনিওটিক ফ্লুইড বেড়ে গেলে, আগে অজানা কারণে গর্ভপাত হলে বা মৃত সন্তান জন্মালে এই রোগ ধেয়ে আসতে পারে।
- ভাবী মায়ের ওজন বেশি থাকলেও সতর্ক হতে হবে।
এক বার এই রোগ হওয়া মানে কিন্তু ভাবী মা ও সন্তানের সমূহ বিপদ। কাজেই কখন কী করবেন তা দেখে সতর্ক থাকা দরকার।