সুস্থ থাকতে হলে অতিরিক্ত ওজন অবশ্যই কমাতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ওজনের ফলে যেকোনও রোগ সহজে শরীরে বাসা বাঁধে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। ওজন কমাতে হবে ধীরে ধীরে। অল্প সময়ে অতিরিক্ত ওজন কমানো ঠিক নয়। এতে শরীরের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। আর বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।
অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে সবার আগে যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে তা হল– নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটা ও ডায়েট করা।
ব্যায়াম করা
অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে সকালে হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন। এছাড়া সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন ৩০ মিনিট হাঁটুন। এমনভাবে হাঁটতে হবে যেন শরীর থেকে ঘাম ঝরে।
ডায়েট করা
অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে খাবারের প্রতি নজর দিতে হবে। কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়ম করে খেলে ধীরে ধীরে অতিরিক্ত ওজন কমে আসবে। ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত বেশ কিছু খাবার খেতে পারেন।
ওটস মিল
সকালের নাস্তায় খেতে পারেন ওটস মিল। এই খাবারে বিভিন্ন রকম মৌসুমি ফল মিশিয়ে খেতে পারেন। ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বিসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।
ওটসে রয়েছে ভিটামিন বি, যা শরীরে কার্বোহাইড্রেট হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া ওটসে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, থিয়ামিন, ভিটামিন, যা অন্যান্য শস্যজাতীয় খাবারের তুলনায় বেশি। ওটসে প্রাকৃতিকভাবে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। এছাড়াও রয়েছে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। সেই সঙ্গে ওটসে রয়েছে বেটা গ্লুকোন নামক বিশেষ ধরনের ফাইবার যা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়।
সকালের নাস্তা
সকালের খাবারের মেন্যুতে পুষ্টি সম্পন্ন খাবার ডিম, ওটস, সবজি, ফল, বাদাম রাখতে পারেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি খান
ওজন কমাতে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সবজি রাখুন। প্রতি বেলার খাবারে ৫০ শতাংশ রাখতে হবে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর সবজি।
টকজাতীয় ফল
খেতে হবে ভিটিমন সি সমৃদ্ধ টকজাতীয় ফল। টক ফল ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের সহায়ক।
দিনের বেলায় ঘুমাবেন না
ওজন কমাতে চাইলে দিনেরবেলায় ঘুমাবেন না। রাতে নিয়ম করে ৬ ঘণ্টা ঘুমান। আর রাতের খাবার একটু আগে খেয়ে ফেলুন।