অমিত মিত্র
AIIMS ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়ার বক্তব্য- রঙ দিয়ে ফাঙ্গাসের নাম বলা যাবে না। একই ফাঙ্গাসের বিভিন্ন রঙের নাম না বলে মূল ফাঙ্গাস ‘মিউকরমাইকোসিস’ বলা ভাল। আরও পরিষ্কার অর্থে কোনো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা হোয়াইট ফাঙ্গাস নামের ফাঙ্গাস নেই। এটি আসলে মিউকরমাইকোসিস। কখনও ব্ল্যাক, কখনও হোয়াইট এরকম বিভিন্ন নাম দিয়ে এই ফাঙ্গাসটির পরিচয় দেওয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগ ছোঁয়াচে নয়। শুধুমাত্র যাদের হাই সুগার এবং অন্যান্য ক্রনিক রোগ রয়েছে তাদেরই আশঙ্কা রয়েছে এই ফাঙ্গাসের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার। মিউকরমাইকোসিস বা যাকে বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তা আসলে বিশেষ ধরনের আণুবীক্ষণিক ছত্রাকের সংক্রমণজনিত বিভিন্ন রোগকে বোঝায়।
কোথায় থাকে এই ফাঙ্গাস ? এবং কারা এই ফাঙ্গাসের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন?
- এই ফাঙ্গাস সব জায়গায় থাকে। মাটি, জল, বাতাসে ছড়িয়ে থাকলেও সংক্রমণক্ষমতা এতই কম যে এক লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র এক–দুজনের এই জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু কোনো কারণে শরীরের রোগপ্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলেই কেবল এই সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যেটা এক লাখে ২০ থেকে ৩০ জন হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগী, বিশেষত কিটো অ্যাসিডোসিসে আক্রান্তরা উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। তা ছাড়া ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী, অতিরিক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, অত্যধিক স্টেরয়েড গ্রহণ করা, কিডনি বা অন্য অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা রোগী এবং চরম অপুষ্টিজনিত রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হতে পারে। চামড়ার গভীর ক্ষত ও পোড়া ঘায়েও এই রোগ হতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড সুগার বা যথেচ্ছ স্টেরয়েড ব্যবহারকারীদের এই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তবে এই কোভিড-কালে এই রোগ নতুন করে মাথা চাড়া দেবার যে কারণকে চিকিৎসকরা মূলত সামনে রাখছেন তা হল, রোগীর শরীরে অক্সিজেনের প্রবেশ। করোনা আক্রান্তের শরীরে Dry oxygen এর পরিবর্তে জলের মাধ্যমে অক্সিজেনের প্রবেশ ঘটানো হয়। সেই জল অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিশুদ্ধ করা হয় না। যার ফলে ওই জলে যে ছত্রাক জন্ম নেয়, সেই ছত্রাকই আক্রান্তের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ঘটায়।
Labeling the same fungus with names of different colors can create confusion.#Mucormycosis is not a communicable disease, unlike #COVID19. 90-95% of patients getting infected are found to have been either diabetic and/or taking steroids
– Dr. Randeep Guleria, Director, AIIMS pic.twitter.com/hKpexte7A9
— PIB India (@PIB_India) May 24, 2021