কয়লা সঙ্কটের জেরে দেশে বড়সড় বিদ্যুৎ-বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়লা-নির্ভর দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে সেপ্টেম্বরের শেষে চার দিনের মতো কয়লা মজুত ছিল। কয়লার জোগানে ঘাটতির কারণে দেশের অর্ধেকের বেশি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।
ভারতের কয়লা মন্ত্রকের সচিব অনিল কুমার জৈন জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে কয়লা উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে এখন ৬০ থেকে ৮০ হাজার টন মতো কয়লার ঘাটতি রয়েছে। তবে তাঁর আশা, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কয়লা সরবরাহ বাড়বে এবং এই সমস্যা মিটে যাবে।
করোনার ধাক্কা সামলে দেশের শিল্পসংস্থাগুলিতে উৎপাদন চালু হওয়ায় বিদ্যুতের বিপুল চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু অতি বর্ষণের কারণে চাহিদার তুলনায় কয়লার উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার দাম বেড়ে গিয়েছে। তাই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে দেশীয় উৎপাদনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।
দেশের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রই কয়লার জোগানের ওপর নির্ভরশীল। তবে বৃষ্টির দাপট ক্রমশ কমছে। তাই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।