ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন। রাজ্যের (West Bengal) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে সোমবার তিনি তলব করেছেন রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব (Chief Secreatary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। এর আগে রাজ্যে ভোট শেষ হওয়ার পরপরই তদানীন্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Alapan Banerjee) ডেকে পাঠিয়েছিলেন ধনখড়।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করে ফের নিশানা করেছেন রাজ্য সরকারকে। টুইটে তিনি লিখেছেন, “অরাজকতার দিকে এগোচ্ছে রাজ্য। সর্বত্রই প্রতিহিংসার ঘটনা ঘটছে। রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা চারদিকে লুঠপাট চালাচ্ছে। শাসক দলকে ভোট না দেওয়ার মাশুল গুনছেন বহু মানুষ।”
এখানেই থামেননি রাজ্যপাল। টুইটারে ১৭ মে সিবিআই অফিসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি। ধনখড় লিখেছেন, “বিরোধীদের সামাজিকভাবে বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে। ঘরছাড়াদের নিজের বাড়িতে ফেরার জন্য টাকা দিতে হচ্ছে।”
হিংসার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মদত দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন ধনখড়। হিংসা রুখতে রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতেই মুখ্যসচিবকে তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
টুইটে রাজ্যপালকে পাল্টা বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল (Trinamool) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। তিনি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা তখনই বদলাবে, যখন দিল্লি গিয়ে আপনি অন্য কাজ খুঁজবেন।” ধনখড়কে দুটি পরামর্শ দিয়ে মহুয়া লিখেছেন, “এক, বিরোধীদের ওপর কীভাবে হামলা চালাতে হয়, সে বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হতে পারেন। দুই, অতিমারীর সময়ে কীভাবে লুকিয়ে থাকতে হয়, সেই ব্যাপারেও আপনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা হতে পারেন।”