দেশ-বিদেশে পাটজাত দ্রব্যের কদর আরও বাড়াতে উদ্যোগী কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে এবার নতুন লোগো নিয়ে এল কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ন্যাশনাল জুট বোর্ড। শনিবার জাতীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে এই লোগোর সূচনা করেন বস্ত্র মন্ত্রকের সচিব উপেন্দ্র প্রসাদ সিং।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই লোগো চালু হওয়ার ফলে দেশে তো বটেই, বিদেশের বাজারেও পাট এবং পাটজাত পণ্যের বিপণনে নতুন গতি আসবে। তাঁর কথায়, “ভারত ও বাংলাদেশ, বিশ্বের মাত্র এই দুটি দেশে পাটের ব্যাপক উৎপাদন হয়। তাই ঠিকভাবে বিপণন করা গেলে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাটের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পাটজাত পণ্যের জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতে গেলে, গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।”
জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার সিএমডি এ কে জলি এবং জুট কমিশনার মলয় চক্রবর্তী এই ধরনের লোগোর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডে পাটশিল্পের প্রসারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
জাতীয় জুট পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনার থাবা সত্ত্বেও ২০২১-২২ অর্থবর্ষে পাটজাত পণ্য রফতানি করে কেন্দ্রের কোষাগারে এসেছে ৩৭৮৫.৬৮ কোটি টাকা, যা সর্বকালীন রেকর্ড। পাটের উন্নয়নে গত অর্থবর্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কেন্দ্র ৪৮৫.৫৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
দেশে বর্তমানে ৪০ লক্ষ কৃষক পরিবার পাটচাষের সঙ্গে যুক্ত। চটকল সহ বিভিন্নভাবে আরও প্রায় ৭ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। দেশে বর্তমানে জুটমিল রয়েছে ৯৯টি। এর মধ্যে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বাকি ৯৯টি বেসরকারি।