হোমআন্তর্জাতিকLondon: ঐতিহাসিকতা আর আভিজাত্যে মোড়া রাতের মোহময়ী লন্ডন

London: ঐতিহাসিকতা আর আভিজাত্যে মোড়া রাতের মোহময়ী লন্ডন

London: ঐতিহাসিকতা আর আভিজাত্যে মোড়া রাতের মোহময়ী লন্ডন

tirthankarতীর্থঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

(লন্ডন প্রবাসী প্রাক্তন বিশিষ্ট সাংবাদিক তীর্থঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বিলেতের এক টুকরো অসাধারণ ছবি আঁকলেন শুধুমাত্র এই পোর্টালের জন্য।)

যুগান্তরে শিক্ষানবিশি করার সময় বেতন ছিলো সাকুল্যে দু‘হাজার টাকা। আমার বয়স তেইশ। কাঁটাকলে অর্থনীতির ছাত্র। দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই পর্যটন করতে। সন্ধ্যে থেকে রাত, কখনও মাঝরাত পেরিয়ে খবরের কাগজের অফিসে কাজ করি।

সেই সময় দু‘হাজার অনেক টাকা। শৌখিনতা করে গায়ে Aramusk মাখতাম। আর সুযোগ পেলে শিয়ালদা থেকে নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোর উল্টোদিকে যুগান্তরে যেতাম ট্যাক্সি চড়ে। এই শৌখিনতা বেশিদিন সয়নি। জীবনের নানা ওঠাপড়া কয়েক বছরেই আমাকে প্রবাসী করে লন্ডনে ঠেলে পাঠিয়েছিল।

লন্ডন শহরের বৈচিত্র শুধু আভিজাত্যে আর ঐতিহাসিকতায় নয়। রাতের লন্ডনের মতোই মোহময়ী এই শহরের বৈচিত্রের পসরা। শহরের একেকটা অংশ যেন salad bowl-এর মতোই একেকটা জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে লন্ডনের বৈচিত্রের বিন্যাসে প্রতিনিয়ত নতুন মাত্রা যোগ করে। বৈচিত্রের সেই সুষমায় উদ্ভাসিত হয় লন্ডন।

লন্ডনেই প্রথম জেনেছিলাম ফরাসি সুগন্ধী শ্যানেলের কথা। প্রথমবার দেশে যাওয়ার সময় কিনেওছিলাম হিথরোর duty-free দোকান থেকে। তখন Terminal 4 থেকে উড়ত British Airways-এর বিমান। দিল্লি হয়ে কলকাতা।

দু‘হাজার সাল থেকেই সঙ্গী শ্যানেল। আমাদের বিয়ের পরপর গিয়েছিলাম প্যারিস। তখনো শ্ঁজালিঁজে চিনি না কিন্তু তা শ্যানেল কেনায় অন্তরায় হয়নি। Eurostar-এ লন্ডনের কিংস ক্রস থেকে প্যারিসের গার-ডি-নর বা ডোভার থেকে ক্যালে হয়ে প্যারিস। যেভাবেই যাওয়া হোক না কেন, শ্যানেল ছাড়া প্যারিস থেকে ফিরতি যাত্রা হয়নি কখনো।

শ্যানেলের ইতিহাস জানা হয়েছে অনেক পরে। বায়োপিকের কথা আরো পরে। গাঢ় খয়েরি রং-এর মোড়কে উজ্জ্বল সোনালী রং দিয়ে লেখা ALLURE HOMME । শ্যানেলের বিজ্ঞাপনী ব্যাখ্যায়: Allure Homme is the expression of a man‘s charisma and inner strength.

শ্যানেলের নতুন CEO ভারতীয় বংশোদ্ভুত লন্ডন-প্রবাসী লীনা নায়ার অবশ্য মহিলা। ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার Gabrielle Bonheur “Coco” Chanel-এর নামাঙ্কিত সংস্থায় এই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। কোকো এবং তার দুই বোনকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলেন তাদের বাবা। এর পরেও পুরুষকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলতে চেষ্টার কসুর করেননি কোকো।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img