‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakhsmi Bhandar) প্রকল্পে মহিলাদের মধ্যে কারা কারা টাকা পাবেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বুধবার নবান্নে এক সাংবাদিক মুখ্যমন্ত্রী জানান, “মহিলাদের (২৫-৬৫ বছর) মধ্যে যাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, তাঁরা শর্তসাপেক্ষে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ফর্ম তুলতে পারবেন। যাঁরা সরকারি চাকরি করেন বা পেনশন পান, একমাত্র তাঁরা ছাড়া সাধারণ মা-বোনেরা এই প্রকল্পে টাকা পাবেন।”
মমতা আরও জানান, “যাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে, তাঁরা ওই কার্ড দেখালেই ফর্ম পেয়ে যাবেন।”
ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আমরা একটা নিয়ম করেছি। ধরুন, একটি বাড়িতে ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে তিনজন মহিলা রয়েছেন। তাঁদের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। তাঁদের অভিভাবকের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে, ওই বাড়ির বউ-মেয়েরাও ফর্ম পাবেন।”
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে ইতিমধ্যেই বিপুল সাড়া মিলেছে। ফর্ম বিলির শুরু থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভিড় উপচে পড়ছে। মাত্র ৩ দিনে ৪৬ লক্ষ আবেদন পত্র জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, “এক মাস ধরে ফর্ম বিলির কাজ চলবে। যোগ্যরা সবাই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর সুবিধা পাবেন। প্রয়োজনে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তিন-চারদিন বাড়তি শিবির চালানোর ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণিভুক্ত পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত পরিবারের মহিলারা ১,০০০ টাকা করে পাবেন।