শপথ গ্রহণ পর্ব চুকতেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের দফতর ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক, তথ্য ও সংস্কৃতি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর নিজের হাতেই রেখেছেন মমতা। এছাড়া ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উদ্বাস্তু উন্নয়ন দফতরও রয়েছে মমতার হাতে।
এবারও অর্থমন্ত্রী রাখা হয়েছে অমিত মিত্রকেই। যদিও তিনি এবার ভোটে দাঁড়াননি। প্রথম এবং দ্বিতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারেও তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাত্য বসু। তাঁকে স্কুল ও উচ্চ শিক্ষা দুই দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছে।
গত মন্ত্রিসভায় শিক্ষা দফতর ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। এবার তিনি শিল্প ও বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি এবং পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন।
গুরুত্ব কমল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয়কে খাদ্য থেকে সরিয়ে বন ও অচিরিচরিত দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রী হয়েছেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ।
আগের মন্ত্রিসভায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। এবার তিনি পরিবণ ও আবাসন দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। পুর-নগরোন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শুরু থেকেই পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সামলে আসছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবারও তাঁকে ওই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নতুন মুখের মধ্যে মৎস্য দফতর পেলেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। পরিবেশ মন্ত্রী হয়েছেন রত্না দে নাগ। প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর কারিগরি শিক্ষা এবং কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহাকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
কিছুটা গুরুত্ব কমেছে অরূপ বিশ্বাসের। আগের মন্ত্রিসভায় অরূপ ছিলেন পূর্ত, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের দায়িত্বে। এবার তাঁকে বিদ্যুৎ, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী করা হয়েছে। পূর্তমন্ত্রী হয়েছেন মলয় ঘটক। সেইসঙ্গে আইন ও বিচার দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর এবার নিজের হাতে রাখেননি মমতা। ওই দফতরের মন্ত্রী হলেন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ গোলাম রব্বানি।
শিশু ও নারী কল্যাণ দফতরে এবার পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. শশী পাঁজা।