শ্যামল সান্যাল : শেষ পর্যন্ত চিনের প্রথা মত একটু একটু করে পাখির মত ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে কর্তা গিন্নিকে থ্যাংকু, গুডনাইট বলে টলে বাড়ি ফিরেছিল এই কলমচি।এরপরে বেশ কয়েকবার নেমতন্ন করেছেন ওঁরা, যেতেও হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে খাঁটি চিনে খাবার খাওয়া। চুপি চুপি বলে রাখা যাক, ওই সব খাদ্যের স্বাদের তুলনায় কলকাতার ‘চিনে’ খাবারের টেস্ট লা জবাব। ফুটের চিলি চিকেন (Chilli Chicken), মোমো (Momo) চিনেরা জীবনে বানাতে পারবে না। ওরা খেতে তো দূরের কথা জিভে টাচ করতেও হিমশিম খেয়ে পালিয়ে যাবে বেজিংয়ে।
বেজিং তো চিনের রাজধানী। চিনের বিখ্যাত খাবার হল “বেজিং ডাক”(Beijing Duck)। অনেক দাম, ফাটাফাটি টেস্ট।চিনের বড়লোকরা খায়। আগে এই খাবারের নাম ছিল “পিকিং ডাক “। কারণ, তখন রাজধানীর নাম ছিল “পিকিং”। পরে বদলে হয়েছে “বেজিং “।
ওদেশের সাধারণ মানুষ ভেজ, চিকেন, ডিম (Egg), মাংস (Meat), ব্রেড, ফল-টল (Fruits) খায়। ওখানে ট্যুরিস্ট হিসেবে গিয়ে চিনেও অন্য নানা দেশের খাবার-দাবার খেলাম। ভারতীয় রেস্তোঁরায় রুটি, তড়কা, ভাত ডাল, আলুভাজা, চাটনি, মিষ্টি এসব তো চেখে দেখলাম। তবে সেগুলো নামেই ভারতীয়। এখানের ওই টেস্ট এক্কেবারেই নয়।
আমেরিকা (America), লন্ডনের (London) ভারতীয় রেস্টুরেন্টে খেয়েছি।কিন্তু সব হয় পাঞ্জাবি, নয় গুজরাটি, দিল্লিওয়ালাদের মেনু। লন্ডনে কিছু এলাকায় বাংলাদেশিদের খাবারের দোকানে অনেকটা দেশি খাবারের স্বাদ মিলবে। চিনের সঙ্গে এই কলকাতা (Kolkata), বঙ্গের (West Bengal) কিন্তু বহু পুরনো একটা রিলেশন আছে। সেই গপ্পো দারুণ।