হোমআন্তর্জাতিকModi : সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, বিশ্বের ৩৭ রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় মোদিও

Modi : সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, বিশ্বের ৩৭ রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় মোদিও

Modi : সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, বিশ্বের ৩৭ রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় মোদিও

সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধকারী বিশ্বের ৩৭ জন রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নাম। এই তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লোবাল মিডিয়া ওয়াচডগ, রিপোটার্স উইদাউদ বর্ডার্স (Reporters Sans Frontières বা RSF)।

ভারতের বিলিওনিয়ার মিডিয়া মালিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে জাতীয়তাবাদী প্রচারের প্রচারের পাশাপাশি মোদি কীভাবে বিভাজন ও বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন, তা তুলে ধ‍রেছে এই সংস্থা। আর এস এফের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১৪২তম স্থানে।

এই তালিকায় মোদির সঙ্গে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের ইমরান খান, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন প্রমুখ।

৩৭ জন রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ১৭ জনকে ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার শিকারী’ (Predators of Press Freedom)  আখ্যা দিয়েছে আর এস এফ। দুই মহিলা রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং হংকংয়ের ক্যারি ল্যাম-ও এই শিকারীর তালিকায় রয়েছেন।

কেন এঁদের শিকারী বলা হচ্ছে, তার কিছু কারণও তুলে ধরা হয়েছে। সেন্সরশিপ, সাংবাদিকদের জেলে পাঠানো, কোথাও সাংবাদিকদের হত্যা, আবার কোথাও হিংসায় প্ররোচনা দিয়ে সাংবাদিকদের ভীতসন্ত্রস্ত করে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করছেন এই রাষ্ট্রপ্রধানরা। এমনটাই মত আর এস এফের।

‘রিপোর্টার্স সানস ফ্রন্টিয়ারস’ (Reporters Sans Frontières)-এর তালিকায় ২০১৪ সাল থেকেই নাম রয়েছে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। ভারতীয় মিডিয়ার স্বাধীনতার ওপর মোদি কীভাবে থাবা বসিয়েছেন, সে সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেশ করেছে সংস্থাটি। নীচে সেগুলি তুলে ধরা হল।

১) “২০০১ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মোদি এই রাজ্যকে সংবাদ এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণ করার ল্যাব হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই নীতিই তিনি দেশে প্রয়োগ করতে থাকেন।”

২) “এক্ষেত্রে মোদির প্রধান হাতিয়ার হল, মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর জাতীয়তাবাদী-মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া। এই লক্ষ্যে তিনি বড় বড় শিল্পপতির (মিডিয়া সাম্রাজ্যের মালিকানা রয়েছে যাঁদের দখলে) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন।”

৩) “সাংবাদিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা। যেমন, দেশদ্রোহিতার মিথ্যা অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের যাবজ্জীবন কারাবাসের ভয় দেখানো।”

৪) “সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ এমনকী খুনের হুমকিও।”

২০১৭ সালে হিন্দুত্ববাদীদের হাতে গৌরী লঙ্কেশ (Gouri Lankesh) হত্যাকাণ্ড বা মোদির সমালোচক রানা আয়ুব ও বরখা দত্তের মতো মহিলা সাংবাদিকদের ওপর হামলা এমনকি গণধর্ষণের হুমকি।

আর এস এফ হল বিশ্বের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যারা সংবাদমাধ্যমর স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img