রামকৃষ্ণ জয়সোয়াল। সরকারিভাবে তাঁর পরিচয় তিনি কলকাতায় নিযুক্ত মালদ্বীপের কনসাল জেনারেল। কিন্তু নিজের কূটনৈতিক পরিচয়কে তিনি খুব একটা প্রাধান্য দিতে চান না। বরং তাঁর বেশি আগ্রহ বিশ্বশান্তি নিয়ে। বিশ্ব শান্তির ভাবনাই প্রতিনিয়ত তাঁকে তাড়িত করে।
কথায় কথায় বললেন, “বিশ্ব শান্তি শুধুমাত্র দুটি শব্দ নয়। শুধুমাত্র আলোচনা বা প্রচার চালিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন নিরলস চর্চা। আর তা শুরু করতে হবে একেবারে গোড়া থেকেই। অর্থাৎ শৈশব থেকেই মানব মনে শান্তির বীজ বপন করতে হবে এবং তা আজীবন সযত্নে লালন করতে হবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে রামকৃষ্ণের বার্তা, “আপনি যদি শৈশব থেকেই আপনার সন্তানকে শান্তির শিক্ষা দেন, তবেই সে শান্তির পক্ষে থাকবে। হিংসা, বিদ্বেষ কখনও শান্তির পথ সুগম করতে পারে না। সন্তানকে সুশিক্ষা দিন। তাহলেই দেখবেন, ভবিষ্যতে সে সুনাগরিক হয়ে উঠবে।”
রামকৃষ্ণের জন্ম আমাদের প্রিয় শহর কলকাতাতেই। দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ালেও কলকাতাই তাঁকে বেশি কাছে টানে। এই শহরের প্রাণচাঞ্চল্য তাঁকে মুগ্ধ করে। কথায় কথায় বললেন, “কলকাতার মানুষ বরাবরই আবেগপ্রবণ। এখানকার মানুষ অন্যদের চেয়ে আলাদা।” তাই দেশের বাইরে কোথাও গেলে, সেখানে বেশিদিন থাকতে পারেন না। ফিরে আসেন কলকাতার টানে।
বললেন, “প্রবীণদের সান্নিধ্য আমি খুব পছন্দ করি। আমি নিয়মিত মর্নিং-ওয়াক করি। আমার সঙ্গে যাঁরা হাঁটেন, তাঁদের বয়স ষাটের বেশি। আর আমার ৪৫।” তাঁর কথায়, “ওঁদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখি। বিশেষ করে ওঁদের অভিজ্ঞতার মূল্য তো দিতেই হবে। জীবনে শেখা কখনও শেষ হয় না।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন রামকৃষ্ণ। বললেন, “যুদ্ধ কখনও মানুষের ভালো করতে পারে না। আলোচনাই সমাধানের একমাত্র পথ।”