শ্যামল সান্যাল : থাক “পুরানো সেই দিনের কথা”। কারণ, এই লেখাটা পড়ে কিছু মানুষ বললেন, ওহে পলিটিক্সে নামছ নাকি? এক জনের প্রশ্ন, তিয়েন আনমেন স্কোয়ারে কি দশ হাজার ছেলেমেয়ে পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিল? অন্য আরেকজনের প্রশ্ন, “আরে এ দেশের আইন টাইন জানেন তো? আপনার কটা উকিলের পয়সা আছে?”
মানে খুঁজতে ডিকশনারির পাতা ওল্টাতে হবে কি ! চিন (China) দেশটা কোথায়, সাপ ব্যাঙ খায় তো! এমন কথাও কেউ কেউ বলেছেন। ওই শপিং মল চিনেই। ওখানকার একটা জেলায় যে কোনও মল আমাদের দেশের সব থেকে বড় শপিং মলের চেয়েও অনেকগুণ বড়। যা চাই, সবই মিলবে। আমাদের খিদিরপুরের ওই বিদেশি চোরাই মালের মলগুলোতে বা ধর্মতলায় বিদেশি বলে নকল মাল বিক্রির সঙ্গে বেশি দামে সত্যিকারের বিদেশি জিনিস পাওয়া যায়।
ওখানে পরিষ্কার বলা আছে, নকল আর আসল জিনিসপত্র কোন মলে মিলবে। একটা ফরাসি পারফিউমের নকলের দাম ৫০০ টাকা হলে, আসলের মূল্য ৩ হাজার টাকা। আপনি ঠিক করবেন কোনটা নেবেন?
সাপ, ব্যাঙ, টিকটিকি ওরা খায় হয়ত। আমাদের পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, মধ্যপ্ৰদেশ, ওড়িশা, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলের মত বহু এলাকায় গরীবরা ইঁদুর, শিয়াল, পাখি, পিঁপড়ে কি খায় না? কিন্তু শহরের দোকান, কী বাড়িতে তো এসব খায় নাকি ? চিনেও তাই। শহরের ঝাঁ চকচকে হোটেল, রেস্তোরাঁ বা পরিবারে ডিনার টেবিলে চিনের সঙ্গে দুনিয়ার সেরা খাদ্য, মদিরা মিলবে। ভাত, ডাল, সব্জি, মাছ, তড়কা রুটি নিয়ে ভারতীয় রেস্টুরেন্ট ওই তো।
সাংহাইয়ে (Shanghai) কফি নিয়ে মেদিনীপুরের গড়বেতার যুবক বলবেন, কেমন লাগছে পকোড়া? কফিটা বানালাম।এখানে কদ্দিন থাকবেন?
শান্তিনিকেতনের চিনা ভবনের (China Bhavan) একদা ছাত্র বর্ধমানের ছেলে চিনের মেয়ে বিয়ে করে সংসার করছে। তাঁর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath Tagore), সুনীল, রামকিঙ্কর আছে। ভাত, ডাল, রুটি আলুর দম তাঁর বউ রান্না করে। সে তো ওই চিনা ভবনে ওর সঙ্গে পড়ত। কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে গাড়ি বা ট্রেনে ৩/৪ ঘন্টা লাগে। দমদম থেকে হুঁশ করে উড়ে চিনে পা রাখতে ঘন্টা তিনেক মাত্র লাগে। অরুণাচলের লাগোয়া কানমিং, সেটা চিনের এয়ারপোর্ট। কুনমিং চিনের একটা প্ৰদেশ। ওই এয়ারপোর্টের মাপ দমদমের দশগুণ বড়। বেজিং এখান থেকে বহু দূর।
ক্রমশ…